উপস্থিত না থা'ক্লে বিষম অনিষ্ট সংঘটন হ’তে পারে। স্থির হ’ন্, ভয়ের কোনো কারণ নাই। বোধ হয়, সেই মায়ারূপী স্বর্ণ-মৃগই ছলনা ক’রে অনিষ্টোদ্দেশে আমাকে আহবান ক’চ্ছে।
সীতা। না। বৎস! তুমি যা'ই বল, কিছুতেই আমার মন প্রবোধ মানে না। আজ্ আর্য্যপুত্র নিশ্চয়ই বিষম বিপদে প'ড়েছেন, তা'ই বারংবার তোমাকে স্মরণ ক’চ্ছেন। বৎস। শীঘ্র যাও, শাঘ্র যাও।
লক্ষ্মন। দেবি। কোনো মতেই যে আপনি প্রবোধ মানেন না? আমি আর্য্যের আজ্ঞার অন্যথাচরণ ক’রে কোনো ক্রমেই কুটীর ত্যাগ ক’র্ত্ত্যে পারি না। আমার উপর আপনার রক্ষার ভারাপণ ক’রেই আর্য্য মৃগানুসরণে গমন ক’রেছেন।
সীতা। (সজল নয়নে) হা দুরদৃষ্ট! দুঃসময়ে আত্মীয় স্বজনেরাও পর হয়!! প্রভু প্রাণভয়ে বারংবার ত্রাহি ত্রাহি রবে রোদন ক’চ্ছেন, এ শুনেও লক্ষ্মন নিশ্চিন্ত হ’য়ে রয়েছেন! এত দিনের পরে জান্লেম,বৈমাত্রেয় ভ্রাতার ভক্তি নিতান্তই কপট। এত দিনের পরে জান্লেম, শঠের মুখে সুধা, হৃদয়ে