૨૭ মালতীমাধব । সেই তাছার স্বভাবসিদ্ধ বিলাস ? কি তুমি যাহা ভাবিতেই ? সে ঈষৎ হাস্য করিয়া কৃত্রিম কোপ প্রকাশপূৰ্ব্বক কহিল, ই তুমিও তখন বিন গান বাদ্যে স্বভাবে নাচিয়া উঠিয়াছিলে। তিনি শুনিয়া ত্রীড়াবনতমুখে জিজ্ঞাসিলেন, হু সখি! তার পর, তার পর । সে কহিল, তার পর যাত্রা ভঙ্গ হইলে তিনি প্রচলিত জনতার মধ্যে বিলীন হইলেন, আমিও মন্দারিকার গৃহে আসিলাম। অদ্য প্রভাতেই মন্দারিকার হস্তে চিত্ৰপট সমপিত হুইয়াছিল। কেন না তাহার সহিত মাধবালুচর কলহংসের প্রণয় আছে, যদি ঐ সুযোগে উহ। মাধবের হস্তগত হয়। এক্ষণে মন্দারিকার নিকট তদনুরূপ প্রিয় সংবাদও পাইলাম। মালতী শুনিয়া ভাবিলেন, বুলি বা চিত্রপটই প্রদর্শিত, হইয়৷ থাকিবে । অনন্তর জিজ্ঞাসিলেন, সখি ! কি প্রিয় ংবাদ বল দেখি ? লবঙ্গিক কছিল, সখি ! এই সেই চিত্রময় প্রতিরূপ আনিয়াছি, অললোকন কর । যখন দুর্লভ মনোরথ নিবন্ধন দুঃসহ আয়াসে চিত্ত দগ্ধ ও সন্তগু হয়, সে সময় ইহা দেখিলেও মনে ক্ষণকাল সুখ জন্মে। এই বলিয়৷ সেই চিত্রফলক দিলেন । অমাত্যতনয়াও হৰ্ষোল্লাস সহকারে নিরীক্ষণ করিয়া কহিলেন, ছে সন্দিগ্ধ হৃদয় ! এখনও অবিশ্বাস ; এমত আশ্বাসকেও প্রতারণ। বলিয়া সম্ভাবনা করিতেছ। এ কি ! অক্ষর যে! এই বলিয়া নিম্নলিখিত শ্লোক পাঠ করিয়৷ এই রূপ আক্ষেপ করিতে লাগিলেন – হে মহাভাগ ! তুমি নিজে যেমন মধুর মূৰ্ত্তি, তোমার শ্লোক রচনাও তেমনি
পাতা:মালতী-মাধব.djvu/৩২
অবয়ব