যাস? এইত স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ রাজা হয়ে যশোদাকে ভুলে গিয়েছিলেন।”
বুঝি এই আশঙ্কাতেই গুহার রাজমূর্ত্ত টা সত্যবতীর এত থারাপ লাগিয়াছিল। এ কথায় গুহার হাসিমুখ গোমসা হইয়া গেল, সে বলিল।
“কি এক ঠাট্টা! ও কথা আমার একটুও ভাল লাগেনা।”
দিদি হাসিয়া গুহর দুই গাল ধরিয়া টিপিয়া দিল, তাহার পর মাথা নাড়িতে নাড়িতে বলিল “যেমন ভাই তেমনি বোন? তুই রাজাও হলি, আর আমাদের ভুলেও গেলি”?
গুহা গম্ভীরভাবে বলিল “সত্যিই আমি রাজা হইয়াছি। ভীলরাজ তার রাজ্য আজ হইতে আমাকে দিয়াছেন।”
সে সংক্ষেপে তখন সমস্ত ঘটনা বলিয়া গেল। বালিকার মুখ হঠাৎ কেমন মলিন হইয়া পড়িল, চোখ ছল ছল করিয়া উঠিল, তাহার চোখের জলের কুয়াশায় গুহার মাথার ঘাসের মুকুট, গলার পাতার মালা, কপালের রক্ত ফোঁটা, হাতের রাজদণ্ড ক্রমশ স্ফীত হইতে হইতে গুহার আকৃতি খানি তাহার মধ্যে অতি ক্ষুদ্র হইয়া পড়িল, ক্রমে অস্পষ্ট হইয়া গেল, ঢাকিয়া যাইতে লাগিল, শেষে একেবারে মিলাইয়া গেল, —সত্যবতী চমকিয়া চোখের পাতা বন্ধ করিয়া আবার চোখ খুলিয়া গুহার দিকে চাহিল, আস্তে আস্তে বলিল
“গুহা তুই রাজা হইয়াছিস, হয়ত আমাদের মত দীন হীন লোক আর তোর আপনার থাকিবে না। যদি তাই