পাতা:মিবাররাজ.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
মিবাররাজ।

সবের জনতা হইতে সরিয়া পড়িল, গভীর যন্ত্রণার একটা গুরুবলে চালিত হইয়া সে যখন দিগ্বিদিক লক্ষ্যহীন হইয়া চলিতে লাগিল, তখন সে জানিত না কোথায় গিয়া তাহার সে গতির অবসান। কেহ জানিতে পারে না; অদৃষ্টের তাড়নার কোথায় গিয়া শেষ কেহ জানিতে পারে না, যখন তারকা লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া চলে—উল্কাপিণ্ড কক্ষচ্যুত হইয়া পড়ে, তখন কোথায় গিয়া তাহাদের শেষ তাহারা জানিতে পারে না—ভস্ম হইতে হইতে তবে তাহাদের সে চেতনা জন্মে।

 ভীমপুত্রের যখন চেতনা জন্মিল তখন সে মৃত্যুর তীরে; সম্মুখেই পর্ব্বতের শেষ, আর একপদ অগ্রসর হইলে অনন্তের অস্তিত্বে সে তখন বিলীন হইয়া পড়িবে, ভীলপুত্র থমকিয়া দাঁড়াইল—কিন্তু কেন দাঁড়াইল?

 সম্মুখের ঐ যে গহবর-চরাচর গ্রাস করিতে মুখ ব্যাদান করিয়া আছে, উহা কি তাহাকে আশ্রয় দিবার জন্য সস্নেহে আহ্বান করিতেছে না, তবে ও স্নেহের ডাক উপেক্ষা করিয়া দাঁড়াইয়া কেন সে? জীবনে আর তাহার কি আবশ্যক? তাহার পিতার স্নেহ যখন ফুরাইয়াছে—তথন জীবনে আর তাহার কি সুখ? জীবনে এখন যাহা পাইবার আশা নাই, বরঞ্চ মৃত্যুতে এক দিন সে তাহা পাইতে পারে, তাহার মৃতদেহ কোলে লইয়া পিতার এক দিন কাঁদিবার সম্ভাবনা আছে, মৃত্যুতে পিতার স্নেহ এক দিন, ফিরিতে