পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পদ্মিনী ।

হইল না। তাঁহার সম্মান রক্ষার জন্য সহস্র সহস্র ব্যক্তি ঘোর দুঃখে পতিত হইয়াছে—তাঁহারই জন্য এত যুদ্ধ, এত বিগ্রহ, এত রক্তপাত! চিন্তাজর্জ্জরিত ও অনন্যোপায় হইয়া ভীমসিংহ এই হীন প্রস্তাবে সম্মত হইলেন। আলাউদ্দীনের ক্রর হৃদয় এ সংবাদ শ্রবণে আনন্দে আত্মহারা হইল। নির্দ্ধারিত দিবসে আলাউদ্দীন সদলে রাণার প্রাসাদে উপস্থিত হইলেন। দিল্লীর মহাপ্রতাপান্বিত সমাট আজ মিবারের রাণার গৃহে অতিথি। আতিথ্য সংকারের কোন ক্রটিই হইল না। রাজপুতের ভদ্রতা ও সৌজন্য দর্শনে আলাউদ্দীন মুগ্ধ হইলেন। এবং বীনয়নভ্রবচনে বারম্বার আপনার অপরাধ স্বীকার করিলেন। বিদায় গ্রহণের পূর্ব্বে পদ্মিনীর প্রতিচ্ছায়া একবার মাত্র দর্পনে প্রতিবিম্বিত হইল। মনে হইল যেন কোন স্বর্গীয় আলোকচ্ছটা মুকুরের মধ্য দিয়া বিদ্যুতের মত চলিয়া গেল! মুগ্নেত্র আলাউদ্দীন তুষিত নেত্রে চাহিয়া রহিলেন! চকিতে সমুদায় অদর্শন হইল! দর্শন মাত্রই আলাউদ্দীনের দুর্দ্দমনীয় আকাঙ্ষা হৃদয় মধ্যে শতধা প্রবল হইল। পদ্মিনী লাভ বিষয়ে দৃঢ় সঙ্কল্প হইলেন! ভীমসিংহকে ভদ্র ভাষায় আপ্যায়িত করিলেন। সরল হৃদয় রাজপুতবীর দুর্গের দ্বারদেশ পর্য্যন্ত অতিথির