পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পদ্মিনী ।

আগমন করিবেন কেহ যেন তাঁহাদের পথে উপস্থিত না থাকে এবং পদ্মিনী দেবী অর্দ্ধঘণ্টাকাল পতির সহিত আলাপ করিয়া চিরবিদায় গ্রহণ করিবেন। কিছুতে ইহার অন্যথা না হয়। আলাউদ্দীন উৎফুল্ল হৃদয়ে এই সমুদায় প্রস্তাবে স্বীকৃত হইলেন। নির্দ্দিষ্ট দিনে সপ্তশত পট্টাবৃত শিবিকার সম্মুখভাগে বিচিত্র শিবিকায় পদ্মিনী আরোহণ করিয়া আলাউদ্দীনের শিবিরাভিমুখে চলিলেন। ক্রমে ক্রমে সে সমুদায় শিবিকা শিবিরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিল। অর্দ্ধঘণ্টাকাল অতীত হইল, আলাউদ্দীন অসহিষ্ণু হইয়া উঠিলেন—এরূপ দীর্ঘ বিদায় গ্রহণে তাঁহার ধৈর্য্যচ্যুতি হইল। তখন সদলে পত্মিনীর শিবিকার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন! কি সর্ব্বনাশ! কোথায বা পদ্মিনী, কোথায় বা ভীমসিংহ, এ যে যমদূতাকৃতি ভীষণ রাজপুত বীরগণ নিষোষিত অসি হস্তে দণ্ডায়মান! বীরবর গোরা সকলের অগ্রভাগে। ক্ষুদ্ধ সিংহের ন্যায় আলাউদ্দীন গর্জ্জন করিয়া উঠিলেন! রাজপুত বীরগণও ঘোরনাদে সম্মুখ সমরে প্রাণ দিবার জন্য অগ্রসর হইলেন। প্রত্যেক শিবিকায় একজন করিয়া রাজপুতবীর ও বাহক ছয়জন যোদ্ধা ছিল! আজ এই সমুদায় রাজপুতবীর ভীমসিংহের উদ্ধার ও পদ্মিনীর ধর্ম্মরক্ষার জন্য জীবনাহুতি দিতে