পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ময় ভূখা হুঁ।
১১

ব্যগ্রতার সহিত চাহিয়া দেখিলেন ও শুনিলেন, যেন অদূরে নিশার নিস্তব্বতা ভেদ করিয়া তারস্বরে কে বলিয়া উঠিল “ময় ভূখা হুঁ।” আবার কাণ পাতিলেন আবার সেই রব শুনিলেন। এ কে! এ কে! চিতোরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী? দেখিতে দেখিতে দেবী তাঁহার সম্মুখে আবির্ভূতা হইলেন। রাণা গলবস্ত্র হইয়া চরণে লুটায়া পড়িলেন, “মাতঃ, কিসের ক্ষুধা তোমার! এত বীরের রক্তে তোমার ক্ষুধা গেল না? জীবন আহুতি দিতে আর কে বাকী আছে? কি অপরাধে রাজপুতের বংশ নির্ম্মূল হইবে?” দেবী ধীর গম্ভীর স্বরে বলিলেন, “চিতোরের জন্য রাজ মুকুটধারী দ্বাদশটী রাজকুমার রণক্ষেত্রে প্রাণ বিসর্জ্জন না দিলে আমি প্রসন্ন হইব না। চিতোর স্বাধীনতা হারাইবে।”— এই কথা শুনিয়াই রাণা মূর্চ্ছিত হইয়া পড়িলেন। পর দিন অমাত্যগণকে ডাকিয়া দেবীর আবির্ভাবের কথা বলিলেন। তাঁহারা বিশ্বাস করিলেন না। পরদিন আবার দেবী ঐ প্রকারে দেখা দিয়া বলিলেন, “প্রতিদিন এক একটী রাজকুমার সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত হইয়া, তিন দিন রাজ্য ভোগের পর, চতুর্থ দিবসে রণক্ষেত্রে প্রাণ দিবে, এইরূপে বারটী রাজ কুমার প্রাণ উৎসর্গ করিলেই চিতোরের মঙ্গল