পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চণ্ড ও মুকুলজী।
৩১

বলিলেন না। মুকুলের জননী অচিরে আপনার পিতা, ভ্রাতা ও আত্মীয়স্বজনকে চিতােরে আহ্বান করিলেন। তাঁহারা রাজকার্য্য পর্য্যবেক্ষণ করিতেন। মাড়বাররাজ প্রথমে দৌহিত্রকে ক্রোড়ে লইয়া সিংহাসনে উপবিষ্ট হইতেন, পরে একাই সিংহাসনে উপবেশন করিলেন। ক্রমে তাঁহারা পিতাপুত্রে সকলই গ্রাস করিয়া ফেলিলেন। এমন কি মুকুলকে হত্যা করিবার জন্য যড়যন্ত্রও চলিতে লাগিল। তথাপি মুকুলের জননীর চেতনা নাই। অবশেষে একদিন মুকুলের বৃদ্ধা ধাত্রী রাণীকে বিশেষ তিরস্কার করিয়া কহিল—“আপনি কি একেবারে অন্ধ হইয়াছেন? পুত্রের রাজ্য ও জীবন সকলই যায়, তথাপি কোন্ সুখে নিশ্চিন্ত হইয়া বসিয়া আছেন?” ধাত্রীর তিরস্কারে রাণীর চক্ষু ফুটিল। তাই ত কি সর্ব্বনাশ! পিতা ও ভ্রাতার হস্ত হইতে রক্ষা পাই কিরূপে?” ভাবিয়া দেখিলেন তিনি নিরুপায় ও অসহায়। তখন অন্য কোন গতি না দেখিয়া চণ্ডকে বলিয়া পাঠাইলেন, “চণ্ড তুমি ভিন্ন এ বিপদে আর রক্ষাকর্ত্তা নাই। তুমি শীঘ্র আসিয়া তােমার পিতার রাজ্য ও ভ্রাতার প্রাণ রক্ষা কর।” চণ্ড সংবাদ পাইবামাত্র উপস্থিত হইলেন। সকলে সাদরে তাঁহাকে গ্রহণ করিল। চণ্ড বিশ্বাসঘাতক