পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
মিবার-গৌরব-কথা।

কুমার হইয়াও এই সময় যে নিদারুণ দুঃখ সহ্য করিয়াছিলেন তাহার বর্ণনা হয় না। একদা তিনি ছাগরক্ষকের গৃহে অতিথি হইয়া কিছুদিন তথায় বাস করেন। তাহারা তাঁহাকে ছাগরক্ষণ কার্য্যে এবং অন্যান্য শ্রমসাধ্য কার্য্যে নিযুক্ত করিয়া দিনান্তে অতি অপকৃষ্ট খাদ্য আহার করিতে দিত। সঙ্গ রাজকুমার—তিনি ছাগরক্ষণ কার্য্য উত্তমরূপে করিতে পারিতেন না। তাহারা তাঁহাকে সে জন্য অনেক দুৰ্বাক্য বলিত। সঙ্গ নীরবে সকল সহ্য করিতেন। আমরা ইংলণ্ডের ইতিহাসে “এলফ্রেড দি গ্রেটের” গল্প শুনিতে পাই। রাণা সঙ্গও মিবারের “এলফ্রেড দি গ্রেট ছিলেন। নির্ব্বাসিত হইয়াও এক দিনের জন্য তিনি মিবারের সিংহাসন লাভের জন্য নিশ্চেষ্ট হন নাই। এদিকে পিতা রায়মল্ল জ্যেষ্ঠপুত্রের অদর্শনে নিতান্ত ম্রিয়মাণ হইলেন, এবং পৃথ্বীরাজই সকল অনর্থের মূল বিবেচনা করিয়া তাঁহাকেও মিবার রাজ্য হইতে নির্ব্বাসিত করিলেন; এতদিন সঙ্গের যে দশা ছিল পৃথ্বীরাজের ভাগ্যেও তাহাই হইল। কিন্তু রাজপুতের হস্তে তরবারি থাকিলে তাঁহার আর ভাবনা কি? নির্ব্বাসিত হইয়াও পৃথ্বিরাজের বীরত্বের গৌরব ম্লান হইল না। ওদিকে সঙ্গ কাশ্মীর রাজ্যে