পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাণা সঙ্গ বা সংগ্রামসিংহ।
৩৭

উপনীত হইয়া দস্যুপতি করিমচাঁদের আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। করিমচাঁদ সঙ্গের বীরত্ব, সাহস, তেজস্বিতা ও উদ্যম দেখিয়া মুগ্ধ হইয়া তাঁহার হস্তে কন্যা সম্প্রদান করিলেন।

 রায়মল্লের জীবদ্দশাতেই ভগিনীপতিপ্রদত্ত বিষ ভক্ষণে পৃথ্বীরাজের মৃত্যু হইল। বৃদ্ধ রায়মল্ল পুত্রশোকে জর্জ্জরিত হইয়া মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন। পুত্রদিগের পরস্পরের বৈরীভাব তাঁহার জীবনকে বিষময় করিয়া তুলিয়াছিল। রায়মল্লের মৃত্যুর সময় সঙ্গ কাশ্মীরে অবস্থান করিতেছিলেন। তিনি পিতার মৃত্যুসংবাদ শ্রবণ করিয়া চিতোরে আগমনপূর্ব্বক রাজ্যভার গ্রহণ করিলেন। তাঁহার সুশাসনগুণে অতি অল্পদিনের মধ্যে প্রজাগণ তাঁহার একান্ত অনুরক্ত হইয়া পড়িল। রাণা সঙ্গ ইতিহাসে সংগ্রামসিংহ নামে পরিচিত। তাহার ন্যায় বীর এবং উপযুক্ত ব্যক্তি সে সময়ে রাজপুতানায় আর ছিল না। তাঁহার বীরত্ব, প্রতাপ ও রণকৌশল দর্শনে কেহ আর মিবারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করিত না। দিল্লী ও মালবের নৃপতিগণ অষ্টাদশবার সংগ্রামসিংহের সহিত সংগ্রামে পরাজিত হইয়া হতমান হইয়া ছিলেন। তখনকার দিনে সংগ্রাম সিংহের নাম শ্রবণ