পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাণা সঙ্গ বা সংগ্রামসিংহ।
৩৯

আহ্বান করিলেন। যবন সৈন্যগণ সংগ্রাম সিংহের সম্মুখীন হইতে কিছুতেই প্রস্তুত হইল না। বাবরশাহ কত উৎসাহিত করিলেন, কত প্রলোভন দেখাইলেন, কত মিষ্ট বাক্য বলিলেন তাঁহার সকল চেষ্টাই ব্যর্থ হইবার উপক্রম হইল। বাবর বড় সুরাপ্রিয় ছিলেন প্রতিজ্ঞা করিলেন এ জীবনে আর সুরা স্পর্শ করিবেন না। যেখানে যত সুরাপাত্র ছিল সকলই চূর্ণ বিচুর্ণ করিলেন। অনন্যোপায় হইয়া লজ্জা ঘৃণায় ম্রিয়মান হইয়া পড়িলেন। এমন সময়, সহসা তাঁহার সৈন্যগণ উৎসাহিত হইয়া রণপ্রদানে সম্মত হইল! তখন তিনি পরমেশ্বরকে ধন্যবাদ করিয়া মহোৎসাহে পূর্ণ হইয়া কোরাণ আনিয়া প্রত্যেক সৈন্যকে তাহা স্পর্শ করাইয়া প্রতিজ্ঞা করাইলেন “হয় বিজয়ী বেশে রণক্ষেত্র হইতে আসিবে, না হয় বীরের ন্যায় তথায় নশ্বর দেহ পরিত্যাগ করিবে” সকলেই কোরাণ স্পর্শ করিয়া প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইল। শপথ করিয়া ঘোর নিনাদে জয়ধ্বনি করিয়া উঠিল! আবার হিন্দু মুসলমানে ভীষণ যুদ্ধ আরম্ভ হইল। বাবর আত্মরক্ষার জন্য পরিখা মধ্যে অবস্থিতি করিতে গাগিলেন। চতুর্দ্দিকে কামান শ্রেণী সজ্জিত করিয়া রজ্জু দ্বারা দৃঢ় বন্ধন করিলেন। পরিখা মধ্যে কিছুদিন অবস্থিতি