পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাণা প্রতাপসিংহ।
৫৩

পরিত্যাগ করিয়া সকলে পলাইতেছেন। তাঁহার শিশু সন্তানগণ, যাহারা আজন্ম সম্পদে লালিত আজ তাহারা ব্যাধের শিশুর ন্যায় বৃক্ষ তলায় তৃণ শয্যায় শয়ন করে ও বন্য ফল মূল আহার করে। না আছে তাহাদের শয্যা, না আছে তাহাদের বস্ত্র, না পায় তাহারা উদর পৃরিয়া আহার! রাজমহিষী যাহা কিছু পান, স্বহস্তে পাক করিয়া সকলকে দেন, তাহাই তাহারা পরম আনন্দে আহার করে। একদিন সকলে গাছের তলায় আহারে বসিয়াছেন, এমন সময়ে প্রতাপের শিশু কন্যা একে বারে আকুল হইয়া কাঁদিয়া উঠিল। প্রতাপ ব্যস্ত হইয়া দেখেন বন্য বিড়াল তাহার রুটি লইয়া পলাইতেছে, বালিকা ধূলায় পড়িয়া কাঁদিতেছে। হায়রে! মিবারের রাজদুহিতা! আজ একখণ্ড রুটীর জন্য ধূলায় পড়িয়া কাঁদে! প্রতাপের বীর হৃদয় অনেক দুঃখ ক্লেশ সহ্য করিয়াছে, আজ আর পারিল না। গভীর যাতনায় বিশাল নয়নপ্রান্ত দিয়া অশ্রু গড়াইয়া পড়িল। আকুল হইয়া বলিলেন, “হা ভগবন্! আর কতদিন এরূপে স্বাধীনতা রক্ষা করিব!” এতদিনের প্রতিজ্ঞা আজ সহসা বীরহৃদয় পরিত্যাগ করিল! আকবরের নিকট সন্ধি প্রার্থনা করিয়া প্রতাপ এক পত্র লিখিলেন। কিন্তু পরে তাহা