পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কৃষ্ণকুমারী।
৭১

পুতানার সমুদায় সর্দ্দারগণ একতম পক্ষ আশ্রয় করিয়া পরস্পরের সহিত ঘোর যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন। উদয়পুরের রাণা ভীম সিংহ একে হীনপ্রভ, নির্বীর্য্য এই সকল শত্রুর আক্রমণে অত্যাচারে একেবারে জর্জ্জরিত হইয়া পড়িলেন।

 কুক্ষণে আমীর খাঁ নামে এক পাঠান দস্যু সদলে এই বিবাদমান শত্রুগণের মধ্যে উপস্থিত হইয়া ভীষণ ব্যাপার করিয়া তুলিল। সে দুরাত্মা অর্থলোভে কাহাকেও দলন কাহাকেও হনন করিয়া বিবিধ লোমহর্ষণ ব্যাপারের অনুষ্ঠান করিতে লাগিল। উদয়পুরের অপদার্থ বিপন্ন রাণা ভীম সিংহকে নানা প্রকার বিভীষিকা দেখাইয়া সন্ত্রস্ত করিয়া তুলিল। ভীম সিংহ সুন্দরী কন্যা লইয়া ঘোর বিপদে মগ্ন হইলেন। তাঁহার ক্ষুদ্র রাজ্যখানি একেবারে ছারখার হইয়া যাইবার উপক্রম হইল। দুবৃত্ত আমীর খাঁ এই সময় রাণার নিকট এক ভীষণ প্রস্তাব উত্থাপন করিলেন “কৃষ্ণকুমারীর জন্যই এত বিবাদ বিসম্বাদ এত অনিষ্টপাত হইয়াছে, কৃষ্ণা জীবিত থাকিতে ইহার নিবৃত্তি নাই। অতএব তাহাকে হত্যা করাই একমাত্র প্রশস্ত উপায়।” রাণা ভীম সিংহ এমনই বিপদে মূহ্যমান্ হইয়াছিলেন, যে বিপদুদ্ধারের