পাতা:মিশরযাত্রী বাঙ্গালী - শ্যামলাল মিত্র.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোম্বাই পরিত্যাগ। so বঙ্গরে বন্দরে রণতরীনিচয়ের পতাকামালায় বোম্বাই এমন এক অপূৰ্ব্ব ঐ ধারণ করিয়াছিল যে, তাহ বর্ণন করা দুঃসাধ্য। বাস্তবিক বোম্বাই সহর দেখিতে অতি চমৎকার। প্রায় চারি দিক্ সমুদ্রবেষ্টিত । হরিদ্বর্ণের বৃক্ষলতাচ্ছাদিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাহাড় শ্রেণী নিকটে থাকায় স্বভাবশোভা সমধিক বিকসিত হইয়াছে। সহরের ভিতরটা আরও পরিপাটী ; উচ্চ উচ্চ সৌধমালা এবং প্রাসাদ শ্রেণী তাহার ধনপ্রাচুর্ঘ্য প্রকাশ করিতেছে। সহরের মধ্যে এমন পথ নাই যেখান দিয়া টুমিওয়ে, গ্যাসালোক-স্তম্ভ এবং নলপ্রবাহিত জলের কল যায় নাই। বিচিত্র বিচিত্র রাজ-উদ্যান, প্রকাও প্রকাও দাতব্য চিকিৎসালয়, বিদ্যালয় প্রভৃতির সংখ্যা কুত্ৰাপি এত অধিক দেখা যায় না। রাজকীয় নুতন বাজারটা অতি মনোহর। পঞ্জাব প্রদেশ যেরূপ শীত গ্রীষ্মের আধিক্যের জন্য বিখ্যাত, বোম্বাই তন্দ্রপ শীতাতপের সমতুল্যতার জন্য প্রসিদ্ধ। তিন মাসের উপযুক্ত খাদ্য সামগ্রী ও যাবতীয় অবশু প্রয়োজনীয় বস্তু সঙ্গে লইয়া জাহাজ বেলা ৯ টার সময় বন্দর ত্যাগ করিল। ইহাতে একজন কাপ্তেন, একজন বাঙ্গালী কেরাণী ; একজন ষ্টান্সপোর্ট কৰ্ম্মচারী, একজন সার্জন, একজন এপধিকারী, একজন নেটব ডাক্তার, একজন গোমস্তা, তিন জন পারভেয়ার, একজন রেসালদার, এক দল অশ্বারোহী সেনা, ১০১ জন নিম্ন শ্রেণীর কৰ্ম্মচারী, ৬৫টী রণ অশ্ব এবং ৩০৭টা অশ্বতরী ছিল। এতদ্ব্যতীত জাহাজের কৰ্ম্মাধ্যক্ষগণ ও উচ্চ শ্রেণীর কৰ্ম্মচারিগণের সঙ্গে ভূত্য ছিল। জাহাজ বাস কিরূপ সুখের বা দুঃখের হইয়াছিল, জাহাজে কিরূপে দিন কাটাইতাম, কিরূপ আহারে জীবন ধারণ করিতাম, বিশ্রামের জঙ্ক কেমন স্থান পাইয়াছিলাম ক্রমশঃ বিস্তৃত করিব। । ১৮৮২ সনের আগষ্ট মাসের শেষ সপ্তাহে আমরা বম্বে প্রিলেস ডকৃ* হইতে জাহাজারোহণ করত মিশর স্বাত্র করি ; প্রাতঃকালে