পাতা:মিশরযাত্রী বাঙ্গালী - শ্যামলাল মিত্র.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুর্ভাবন।। 磁 शमtब्र ७कüौ श्रुॐांदनी ©८दनं कब्रिग्रां श्रुनग्न भन कन्त्रिंङ कब्रिब्रां তুলিল। আমি যে কৌতুহল চরিতার্থ করিবার জন্ত, পীড়িত বৃদ্ধ জনক ও ভাই ভগিনী প্রভৃতি ৯টা ভালবাসার বস্তুকে পঞ্জাবে রাখিয়। আসিয়াছিলাম, আসিবার কালে পাছে নিরস্ত করেন এই আশঙ্কায় র্যাহাদিগকে আমার গন্তব্য স্থানের নাম পৰ্য্যস্ত সাহস করিয়া বলিতে পারি নাই,যদি নিয়তিক্রমে মিশর রণেই আমার প্রাণ যায়, তবে সেই ভক্তিভাজন পিতা ও স্নেহের বস্তুদের অবস্থা কি হইবে ? তাহাদের যাতনার ও দুঃখের আর সীমা থাকিবে না । এই চিন্তা আসিয়া অামার হৃদয় মনকে এমনি উন্মত্ত করিয়া তুলিল যে, আমি নৈরাশ্যে চারি দিক্ অন্ধকার দেখিতে লাগিলাম। এমন সময়ে কে যেন মৃদ্ধ মধুর স্বরে হৃদয় মধ্যে বলিতে লাগিল, “পুত্র! কি জন্য চিন্তিত হইতেছ? ষিনি এতদিন তোমাকে রক্ষা করিলেন, তিনি এ সময় কখন পরিত্যাগ করিবেন না।” আর অমনি স্বৰ্গীয় স্বসৌরভে এ ক্ষুদ্র হৃদয় পরিপূর্ণ হইয়া গেল। দুঃখ, তাপ, চিন্তা দূরে অপসারিত হইল। এমন সময় অনবরত তোপধ্বনি হইতে লাগিল। অমনি আমাদের ষ্টীমার ধীর গতিতে বন্দর ত্যাগ করিয়া সমুদ্রাভিমুখে অগ্রসর হইতে লাগিল । যতই সমুদ্রের দিকে যাইতে লাগিলাম, ততই সুন্দর বোম্বাইনগরী, মনোহর বৃক্ষ লতা, আত্মীয় বন্ধু বান্ধব, আর জন্মভূমি ভারত ক্রমশঃ দূরে প্রতীয়মান হইতে লাগিল ; ক্রমে বেলা যখন দুই প্রহর হইয়া আসিল, তখন আর সোণার তারত দেখা গেল না। তখন ভক্তিপূর্ণ হৃদয়ে প্রাণের বস্তুদের জন্ত ঈশ্বরসমীপে প্রার্থনা করিতে করিতে লালজলের সহিত জন্মভূমির নিকট কিছুকালের জন্য বিদায় গ্রহণ পূর্বেই বলিয়াছি জাহাজ বন্ধর ত্যাগ করতঃ ক্রমে অগাধ নীলাফু মধ্যে অগ্রসর হইতে লাগিল। এদিকে আমাদের বাসস্থান ও জাহারাষির বশোবপ্তের ধুমধাম পণ্ডিয়া গেল। প্রধান কর্মচারী ও ডাক্তার,