পাতা:মিশরযাত্রী বাঙ্গালী - শ্যামলাল মিত্র.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেমাপতি উলঙ্গলি । ఏt রণক্ষেত্রের দিকে ধাবমান হইলাম এবং পরদিবস মধ্যাহ্নকালে কাসাসিন-শিবিরে উপস্থিত হইলাম। আসিবার সময় যে শবরাশি দেখিয়াছি, তাহ মরণাস্কেও জুলিতে পারিব কিনা বলিতে পারি না । যখন শিবিরে পৌছিলাম, তখন সমর বিশারদ অমিততেজ প্রবীণহৃদয় সার গার্গেট উলঙ্গলি সৈন্য পরিদর্শন করিতেছিলেন ; তখনও সমগ্র ভারতীর-পূর্ণ সেনাদল তথায় উপস্থিত হইতে পারে নাই। ঘোর অমানিশায় গগনমণ্ডলে বিদ্যুৎ নিমেষমাত্র দেখা দিয়াই যেমন অদৃশ্য হয়, সৈন্য পরিদর্শন কালে বিজ্ঞতম সেনাপতির নয়নযুগলেও সেইরূপে চিন্তার রেখা কখনও কখনও দেখা যাইতেছিল। ভারতসেনা না আসায় প্রধান সেনাপতি ভীত না হইলেও মধ্যে মধ্যে বিচলিত হইয়াছিলেন, এবং সৈন্যগণের তেজ ও সাহস বৰ্দ্ধনার্থ জলন্ত উৎসাহ-পূর্ণ বক্তৃতা করিতেছিলেন। তিনি যেন দৈববলে বলী হইয়৷ সাহঙ্কারে ভবিষ্যদ্বাণী করিলেন, “আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিদ্রোহী আরবী পাশাকে পরাজিত করিব, বন্দী করিব, তাহার গৰ্ব্বিত মস্তক ইংরেজ-সিংহাসনতলে অবনত করিব। যদি না পারি, যে প্রিয় কার্য্যে কৃষ্ণ কেশ শ্বেত করিয়াছি সে ব্যবসায় আর করিব না, আমরণ যোদ্ধার পবিত্র নাম উচ্চারণ করিব না।” তখনকার প্তাহার সেই সুদীর্ঘ শ্বেত শ্বশ্রীরাজি-বিরাজিত বদনমণ্ডল এবং অতুল তেজঃপ্রদীপ্ত নয়ন যুগল যে অবলোকন করিয়াছিল, সেই বুঝিয়াছিল এ বাক্য কখনও মিথ্যা হইবে না, এ বাণী মানবমুখনিঃস্থত হইলেও দৈববাণীর ন্যায় সত্যে পরিণত হইৰে । বক্তৃত কালে প্তাহার তেজোগৰ্ব্বে মহোয়ত শির যেন অধিকতর উন্নত হইয়া উঠিল, বিস্ফারিত নয়ন যুগল হইতে যেন অবিরত অম্বিলিৰ বাহির হইতে ফলিত হইতে লাগিল। সকলেরই স্বয় ৱণোৎসাহে একেবারে SBBB BBS BBB SSBBBB SDD DDBB BBB