পাতা:মিশরযাত্রী বাঙ্গালী - শ্যামলাল মিত্র.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমরোক্ষাদ । १* সকল ক্লেশ, সকল পরিশ্রম সফল হইত। অামার ক্ষুদ্র হৃদয় অপরিমের ঘটনার সমূত্রে ডুবিতেছে। ভাষায় এমন অধিকার নাই যে তাহার সম্যক বিকাশে হৃদয়ের ভার লাঘব করি এবং প্রিয় পাঠক পাঠিকাবর্গের তৃষার কথঞ্চিৎ শাস্তি বিধান করি। স্বৰ্য্যদেব ক্রমশঃ মধ্যগগণে আরোহণ করিলেন ; কিন্তু যুদ্ধের আর বিরাম নাই। ইংরেজ ও মিশর সেনা উভয়েই প্রাণ উৎসর্গ করিয়া আজি যুদ্ধে অবতীর্ণ হইয়াছে ; জয়ী না হইয়া কেহই শিবিরে প্রত্যাবর্তন করিবে না । ক্রমে সমর আরও ঘোরতর হইল। প্রত্যেক পক্ষেরই প্রতিজ্ঞ অপরকে পরাস্ত না করিয়া আজি ছাড়িবে না। আরবীর ভীষণ তোপের বজ্ৰনিনাদে ও তাহার পুনঃ পুনঃ অগ্নিময় গোল উদিগরণে ইংরেজ সেনামধ্যে ভীতিসঞ্চার হইল। এমন সময় রণপণ্ডিত মহামনা স্বয়ং উলস্লি কয়েক দল সুদক্ষ সেনার সহিত রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন। র্তাহার আগমনে ও প্রবল আক্রমণে আরবী মুহূর্তের জন্তও বিচলিত হইলেন না । এক্ষণে উভয় পক্ষে স্থির ভাবে যুদ্ধ করা আর সম্ভবপর বোধ হইল না । সমস্ত ইংরেজ সেনা চারিদিকৃ হইতে আরবীকে আক্রমণ করিতে লাগিল। আরবীও আর ওরূপে যুদ্ধ করা যুক্তি সঙ্গত বোধ না করিয়া পশ্চাদগমন করিতে লাগিলেন। এই সুযোগে ইংরেজ সেনা অধিকতর দক্ষতার সহিত মিশর সেনাদিগকে তাহাদের শিবিরের দিকে তাড়াইয়া লইয়া চলিল। সেই কালে অশ্বারোহিগণের অদ্ভুত বৈদ্যুতিক গতি যে লক্ষ্য করিয়াছিল সেই চমৎকৃত না হইয়া থাকিতে পারে নাই। তৎকালে ভয় কাহাকে বলে কেহ যেন জানেই । না। আমার ক্ষীণ বাঙ্গালী হৃদয়ও তখন রণোংলাহে ভয়শূন্ত হইয়াছিল। আমিও সম্বরোত্মত্ত হইয়া দুই তিন বায় আপন তরবারি ও বকের দিকে হস্ত প্রসারণ করিয়াছিলাম। যখন পৰ্ব্বত-ছহিত শ্ৰোন্তস্বতী বেগতরে সাগরোদেশে গমন করে, কেহই বেঞ্জন তাহার তৎকালীন গতি রোধ করিতে সমর্থ হয় না, সেইরূপ লেগা