পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অষ্টম পরিচ্ছদ।
১৫৯

 এদিকে, সমুদায় ঘৃত জ্বালে চড়াও এবং তাহা পাকিয়া আসিলে, তাহাতে সুজিগুলি দিয়া ভাজিতে থাক; যখন দেখা যাইবে, উহা ভাজা ভাজা হইয়া, কিঞ্চিৎ লাল্‌চে রঙের হইয়াছে, তখন তাহাতে ঐ প্রস্তুত করা ডিম ঢালিয়া দিয়া, ঘন ঘন নাড়িতে থাক। এই সময়ে আঁচ খুব অল্প হওয়া আবশ্যক, যখন দেখা যাইবে যে, পোস্তা-দানার ন্যায় উহার আকার হইয়াছে এবং গাঢ় গাঢ় হইয়া আসিয়াছে, তখন তাহাতে গোলাপজল দিয়া, উত্তমরূপে নাড়িয়া নামাইয়া লইবে। কেহ কেহ আবার এই সময় কিঞ্চিৎ মৃগনাভি কিংবা ছোট এলাচের গুঁড়া অথবা সামান্যরূপ কর্পূর দিয়া-ও নামাইয়া লয়েন। এইরূপ প্রস্তুত করা মিষ্ট-দ্রব্যকে ডিমের মোহনভোগ কহিয়া থাকে।

ক্ষীরের বর্‌ফি।

 প্রথমে এক সের চিনির রস প্রস্তুত করিয়া, জ্বালে পাকাইয়া লইবে। এখন ক্ষীরে ছোট এলাচ-চূর্ণ এক তোলা ও গোলাপী আতর দুই এক ফোঁটা মিশাইবে। এখন চিনির রস নামাইয়া, তাহাতে আধ পোয়া মিছ্‌রি দিয়া খুব নাড়িতে চাড়িতে থাকিবে; দানা বাঁধিয়া আসিলে, তাহাতে পূর্ব্বোক্ত ক্ষীর মিশ্রিত করিয়া, একবার নাড়িয়া চাড়িয়া দিবে। অনন্তর, তাহা একখানি পাত্রে ঢালিয়া সমান করিয়া দিবে। কঠিন হইলে ছুরী দ্বারা বর্‌ফির আকারে কাটিয়া লইলে, ক্ষীরের বর্‌ফি প্রস্তুত হইল। কিন্তু সচরাচর বাজারে যে বর্‌ফি বিক্রয় হইয়া থাকে, তাহা কেবলমাত্র ক্ষীর ও চিনির রস দ্বারা প্রস্তুত হইতে দেখা যায়।