পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯০
মিষ্টান্ন-পাক

 গোল্লা সন্দেশ পাক করিতে যেরূপ ছানা বাটিয়া লইয়াছ, এখন-ও সেইরূপ বাটিয়া লও। চিনির রস জ্বালে ফুটিয়া আসিলে তাহাতে ছানা দিয়া নাড়িতে থাক। একটু পরে-ই ক্ষীর ঢালিয়া দেও। খুব নাড়িতে থাক। নাড়া কামাই দিলে আঁকিয়া উঠিবে। জ্বালে রস মরিয়া ঘন অথচ চিট্-ধরা গোছের বোধ হইলে নামাইয়া, পূর্ব্ববৎ বিচ্ মারিয়া পাত্রান্তরে তুলিয়া রাখ। অনন্তর, উহাতে পেস্তার কুচি মিশাইয়া মোণ্ডা পাকাইয়া লও।

ক্ষীরের সন্দেশ।

 প্রথমে তিন পোয়া চিনির রস, একখানি খুলি করিয়া জ্বালে চড়াইবে, এবং আধ সের ছানা-বাটা উহাতে মিশাইয়া, তাড়ু দ্বারা অনবরত নাড়িতে থাকিবে। জ্বালের অবস্থায় যখন দেখা যাইবে, চিট ধরিয়া গাঢ় হইয়া আসিয়াছে, তখন তাহাতে এক পোয়া খোয়া ক্ষীর, এক ছটাক বাদাম, এক কাঁচ্চা পেস্তা বাটা ও ছোট এলাচের দানা চারি আনা পরিমাণ ঢালিয়া দিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া নামাইবে। অনন্তর, পূর্ব্ববৎ বিচ্ মারিয়া পাত্রান্তরে রাখিয়া গোল্লা বাঁধিয়া লইলে-ই, ক্ষীরের সন্দেশ পাক হইল।

দেদোমোণ্ডা।

 রিমিত চিনির রসে পরিমিত ছানা মিশাইয়া জ্বালে চড়াইবে, এবং অন্যান্য সন্দেশ পাকের ন্যায় ক্রমাগত তাড়ু দ্বারা নাড়িতে থাকিবে।