রাখিবে, এবং অন্যান্য সন্দেশের ন্যায় নাড়িয়া চাড়িয়া পাত্রান্তরে তুলিয়া রাখিবে। এখন উহাতে দুই তিন ফোঁটা গোলাপী আতর এবং পেস্তার কুচি মিশাইয়া চট্কাইতে থাক। পাক আঁটিয়া আসিলে, এক একটি গুটি কাটিয়া আতা-সন্দেশের ছাঁচে, সেই গুটি পূরিয়া চাপিয়া ধর। অনন্তর, তাহা হইতে বাহির করিয়া লইলে-ই আতা সন্দেশ প্রস্তুত হইবে।
চন্দ্র-আতা।
চন্দ্রআতা পাক করিতে হইলে, একসের নারিকেল-কুরা-বাটা, একসের চিনির রসে পাক করিয়া, আতা সন্দেশের ছাঁচে প্রস্তুত করিয়া লইলে-ই চন্দ্র-আতা তৈয়ার হইল। ইহার বর্ণ চন্দ্রের ন্যায় সাদা, এজন্য ইহার নাম চন্দ্র-আতা।
চন্দ্রছাঁচ।
কুটুম্বিতা প্রভৃতি তত্ত্ব-তল্লাসে চন্দ্রছাঁচ অধিক আদরের সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে। প্রথমে ঝুনা নারিকেল-কুরা এক পোয়া উত্তমরূপে বাটিয়া লও। নারিকেল কুরিবার সময় যেন উহার খাঁক্রি না মিশিয়া যার; কারণ, তাহাতে চন্দ্রছাঁচ ময়লা হইয়া থাকে। নারিকেলের ন্যায় বাদাম ও পেস্তা এক ছটাক করিয়া বাটিয়া রাখ। এখন চিনির পাকা রস এক পোয়া, একখানি কড়াতে করিয়া জ্বালে চড়াও, এবং সেই রসে বাটা উপকরণগুলি ঢালিয়া দেও, এবং মধ্যে মধ্যে দুই