পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দশম পরিচ্ছেদ।
১৯৯

রাখিবে, এবং অন্যান্য সন্দেশের ন্যায় নাড়িয়া চাড়িয়া পাত্রান্তরে তুলিয়া রাখিবে। এখন উহাতে দুই তিন ফোঁটা গোলাপী আতর এবং পেস্তার কুচি মিশাইয়া চট্‌কাইতে থাক। পাক আঁটিয়া আসিলে, এক একটি গুটি কাটিয়া আতা-সন্দেশের ছাঁচে, সেই গুটি পূরিয়া চাপিয়া ধর। অনন্তর, তাহা হইতে বাহির করিয়া লইলে-ই আতা সন্দেশ প্রস্তুত হইবে।

চন্দ্র-আতা।

 ন্দ্রআতা পাক করিতে হইলে, একসের নারিকেল-কুরা-বাটা, একসের চিনির রসে পাক করিয়া, আতা সন্দেশের ছাঁচে প্রস্তুত করিয়া লইলে-ই চন্দ্র-আতা তৈয়ার হইল। ইহার বর্ণ চন্দ্রের ন্যায় সাদা, এজন্য ইহার নাম চন্দ্র-আতা।

চন্দ্রছাঁচ।

 কুটুম্বিতা প্রভৃতি তত্ত্ব-তল্লাসে চন্দ্রছাঁচ অধিক আদরের সহিত ব্যবহৃত হইয়া থাকে। প্রথমে ঝুনা নারিকেল-কুরা এক পোয়া উত্তমরূপে বাটিয়া লও। নারিকেল কুরিবার সময় যেন উহার খাঁক্‌রি না মিশিয়া যার; কারণ, তাহাতে চন্দ্রছাঁচ ময়লা হইয়া থাকে। নারিকেলের ন্যায় বাদাম ও পেস্তা এক ছটাক করিয়া বাটিয়া রাখ। এখন চিনির পাকা রস এক পোয়া, একখানি কড়াতে করিয়া জ্বালে চড়াও, এবং সেই রসে বাটা উপকরণগুলি ঢালিয়া দেও, এবং মধ্যে মধ্যে দুই