বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দশম পরিচ্ছেদ।
২০৭

জ্বালের অবস্থায় রসের নীচে পড়িয়াছে, তখন তাহা নামাইয়া লইলে রসগোল্লা পাক হইল। টাট্‌কা অবস্থা অপেক্ষা, একটু রস বসিলে রসগোল্লা খাইতে অতি সুখাদ্য। এজন্য বিলম্ব করিয়া আহার করা ভাল। উহা শীতল হইলে, ইচ্ছা হয় যদি, তবে রসে দুই তিন বিন্দু গোলাপী আতর দিয়া একবার নাড়িয়া চাড়িয়া লইলে, রসগোল্লা প্রস্তুত হইল। গোলাপ-গন্ধ নির্গত হয় বলিয়া, উহাকে গোলাপী রসগোল্লা-ও কহিয়া থাকে।

চন্দ্রমাছ।

 ন্দ্রমাছের পাক এক প্রকার নারিকেল-সন্দেশের পাকের ন্যায়। এক সের নারিকেল-কুরা-বাটা আর এক সের চিনির রস এক সঙ্গে মিশাইয়া জ্বালে চড়াইবে এবং মধ্যে মধ্যে খুন্তি দ্বারা নাড়িয়া চাড়িয়া দিবে। জ্বালে যত রস মরিয়া গাঢ় হইয়া আসিবে, তত-ই ঘন ঘন নাড়িতে থাকিবে, নতুবা আঁকিয়া উঠিবে। অনন্তর, তাড়ুর গা হইতে একটু পাক তুলিয়া, আঙুলের মাথায় পরীক্ষা করিয়া দেখিবে, উহা চিট্ ধরিয়া উঠিয়াছে কি না, যদি চিট্-ধরা বোধ হয়, তবে আর জ্বালে না রাখিয়া নামাইয়া নাড়িতে থাকিবে। জুড়াইয়া আসিলে পাত্রান্তরে তুলিয়া, একবার অল্প চট্‌কাইয়া গুটি কাটিতে থাকিবে এবং এক একটি গুটি মাছের ছাঁচের ভিতর পুরিয়া চাপিয়া-ই খুলিয়া লইবে। দেখিবে, মাছের আকারে উহার গঠন হইয়াছে। জলপানের থালা সাজাইতে এই মাছ ব্যবহৃত হইয়া থাকে। ইচ্ছা হয় যদি, কিস্‌মিস্ কিংবা পেস্তা অথবা বড় এলাচের দানা দ্বারা মাছের দুইটি চোক-ও তৈয়ার করিয়া দিতে পারা যায়।