অতি মধুর, এবং এত মুখ-প্রিয় যে, আহারকালে তাহার অপকারিতা মনে থাকে না। ফলতঃ, যে পরিমাণ পিষ্টকাদি আহার করিলে সহজে পরিপাক করিতে পারা যায়, সেই পরিমাণে আহার করা-ই বিধেয়। এখন অপেক্ষা পূর্ব্বকার লোকদিগের স্বাস্থ্য ভাল ছিল, তাঁহারা অধিক পরিমাণে আহার করিয়া, পরিপাক করিতে সমর্থ হইতেন। এক্ষণে লোকের পরিপাক-শক্তি যে পরিমাণে হ্রাস হইয়া আসিতেছে, পিষ্টকাদি ভক্ষণে সেই পরিমাণে রুচি-ও অল্প দেখা যাইতেছে। বিশেষতঃ, পীড়িত ব্যক্তিদিগের পক্ষে পিষ্টক ভক্ষণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারণ, সুস্থব্যক্তি সহজে যাহা পরিপাক করিতে অসমর্থ, পীড়িত ব্যক্তিদিগের পক্ষে যে, তাহা মহা অনিষ্ট-কর এবং বিষ-তুল্য ইহা বোধ হয়, কাহাকে-ও যুক্তি দ্বারা প্রমাণ করিতে হয় না। বালক-বালিকারা পর্য্যন্ত পিষ্টক ভক্ষণে আগ্রহ প্রকাশ করিয়া থাকে। এজন্য, তাহাদের স্বাস্থ্যের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া, আহারের ব্যবস্থা করা উচিত। বিশেষতঃ, যে সময়ে ওলাউঠা প্রভৃতি মহামারী উপস্থিত হয়, সেই সময় পিষ্টক বিষ-তুল্য জ্ঞান করা কর্ত্তব্য। চাউলের গুঁড়ি এবং তৈল প্রভৃতি সংযোগে যে সকল খাদ্য প্রস্তুত করা হয়, তৎসমুদায় সহজে-ই দুষ্পাচ্য। দুষ্পাচ্য দ্রব্য আহার করিলে, নানাপ্রকার পেটের পীড়া হইবার গুরুতর সম্ভবানা। অতএর যাহাতে পীড়া হইবার কথা, সেরূপ দ্রব্য আহার পক্ষে বিশেষরূপ সাবধান হওয়া-ই উচিত।
নলেন গুড়ের পায়স।
উপকরণ ও পরিমাণ।—দুগ্ধ এক সের, গুড় আধ পোয়া, চাউল এক ছটাক, ঘৃত আধ ছটাক, ছোট এলাচ-চূর্ণ এক আনা।