পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২০
মিষ্টান্ন-পাক

গরম দুধ অল্প পরিমাণে ঢালিয়া নাড়িতে থাকিবে। আর জ্বালে বসাইবার প্রয়োজন হইবে না। ক্রমে ক্রমে সমুদায় দুধ মিশান হইলে, পেস্তার কুচি দিয়া খুব নাড়িতে থাকিবে। ইচ্ছা হইলে উহাতে অল্প পরিমাণে গোলাপ জলের ছিটা কিংবা গোলাপী আতর দিতে পার। যাঁহারা উহা অপবিত্র জ্ঞান করেন, তাঁহারা তৎপরিবর্ত্তে ছোট এলাচচূর্ণ ও কর্পূর দিয়া সুগন্ধ করিয়া লইবেন

ক্ষীরিকা।

রমান্ন বা পায়সের একটী নাম ক্ষীরিকা। নির্জ্জলা দুধে উহা পাক করিতে হয়। অতি প্রাচীন কালে যে নিয়মে ক্ষীরিকা প্রস্তুত হইত, এস্থলে তাহা-ই লিখিত হইতেছে। অর্দ্ধ-পক্ক দুগ্ধে, দুগ্ধের ষোল ভাগের এক-ভাগ সরু আতপ চাউল, ঘৃতের সহিত সিদ্ধ করিবে; চাউল সিদ্ধ হইলে, তাহাতে পরিমাণ মত চিনি দিবে। পরমান্ন পাক হইলে, উহা উনান হইতে নামাইয়া, তাহাতে ছোট এলাচ-দানার গুঁড়া ও সামান্য কর্পূর দিবে।

 বৈদ্য-শাস্ত্রমতে ক্ষীরিকার গুণ,—মধুর রস, গুরু-পাক, বিষ্টন্তী, পুষ্টিকর এবং বাত, পিত্ত ও রক্তপিত্তের হানি-কারক।

কচি লাউয়ের পায়স।

চি লাউদ্বারা পায়স প্রস্তুত হইতে পারে। লাউয়ের খোসা ছাড়াইয়া, তাহার মধ্যস্থ বুকো কাটিয়া ফেলিবে। পরে লাউ অত্যন্ত