পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২২
মিষ্টান্ন-পাক

এক পোয়া চাউল হইলে, দেড় সের জলে অন্ন পাক করিবে। ভাত ফুটিতে আরম্ভ করিলে, হাঁড়ির ঢাকনি খুলিয়া, তাহাতে ক্রমে ক্রমে দেড় সের গরম দুধ খাওয়াইতে থাকিবে। এই সময় হইতে হাঁড়ির ভাত সর্ব্বদা নাড়িয়া দিবে; সর্ব্বদা নাড়িবার কারণ এই যে, ভাত ভাঙ্গিয়া যাইবে। দুধ দেওয়ার সময় আধ পোয়া সাগু হাঁড়িতে ঢালিয়া দিবে। ভাত সিদ্ধ হুইবার সময় হইতে, উনানের আঁচ কমাইয়া দিবে। কারণ, এই সময় অধিক আঁচ দিলে, আর ভাল করিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া না দিলে, উহা ধরিয়া যাইবার সম্ভাবনা। অনন্তর পরিমাণ মত, মিছ‍রি কিংবা ভাল চিনি ফির্ণিতে দিবে। বাদাম ও পেস্তা-বাটা দিতে ইচ্ছা করিলে, এই সময় তাহা ফির্ণিতে দিয়া, ভাল করিয়া নাড়িয়া দিবে। যখন বুঝিবে, ফির্ণি বেশ লপেট গোছের অর্থাৎ ক্ষীরের ন্য়ায় হইয়াছে, তখন উহা উনান হইতে নামাইবে। ফির্ণি ঠাণ্ডা হইয়া আসিলে, তাহাতে ছোট এলাচের গুঁড় ছড়াইয়া দিবে এবং গোলাপ জল ছিটাইয়া দিবে। এই ফির্ণি কোন কোন পোলাওয়ে ব্যবহৃত হইয়া থাকে।

সুজির পায়স।

 সাশুর পায়স ও সুজির পায়স পাক করিবার ব্যবস্থা প্রায় এক রূপ; প্রভেদ এই যে, সাগু অপেক্ষা সুজিতে শীঘ্র দুধ গাড় করিয়া তুলে। এজন্য দুগ্ধে সুজির পরিমাণ অল্প করিয়া দিতে হয়। অন্যান্য পায়সের ন্য়ায় দুগ্ধ অর্দ্ধেক জ্বালে মারিয়া, তাহাতে সুজি ছড়াইয়া দিয়া, ঘন ঘন নাড়িতে হয়। কিন্তু সুজি অগ্রে লাল্‌ছে ধরণে ভাজিয়া দুগ্ধে দিলে, আস্বাদ অপেক্ষাকৃত সুমধুর হইয়া থাকে। সুজির এক প্রকার হাল্‌সে গন্ধ আছে; ঘৃতে ভাজিয়া লইলে তাহা থাকে না। দুগ্ধে সুজি দেওয়ার