অর্থাৎ খুন্তি কিংবা কাটির গায়ে কামড়াইয়া লাগিতেছে, তখন তাহা নামাইয়া লইবে। নামাইবার সময় তাহাতে ছোট এলাচের দানার গুঁড়া এবং অল্পমাত্র কর্পূর ছড়াইয়া নামাইয়া লইবে। রোগীর জন্য প্রস্তুত করিতে হইলে, কোন প্রকার মসলা না দেওয়া-ই প্রশস্ত।
সাগুর পায়স।
প্রথমে সাগুগুলি বাছিয়া লইবে। খাদ্য-দ্রব্য যত পরিষ্কার করিতে পারা যায়, তত-ই ভাল। সাগুর পায়সে দুগ্ধ নির্জ্জলা না হইলে, অন্যান্য পায়স অপেক্ষা উহা অত্যন্ত বিস্বাদ হইয়া উঠে। কারণ, সাগু রাঁধিলে সহজে-ই কিছু পান্সা পান্সা হইয়া থাকে, তাহাতে আবার দুগ্ধে জল থাকিলে, আস্বাদ অত্যন্ত জলীয় বোধ হয়। অন্যান্য পায়সের ন্যায়, দুগ্ধ জ্বালে চড়াইয়া অর্দ্ধেক পরিমাণে মারিয়া, তাহাতে আস্তে আস্তে সাগু ছড়াইয়া দিতে হয়। সাঙ দেওয়ার সময় দুধ খুব ঘন ঘন নাড়া আবশ্যক; কারণ, ভাল রকম নাড়া না হইলে, সাগু চাপ বাঁধিয়া উঠে। একবার চাপ বাঁধিলে, তাহা আর দুগ্ধের সহিত ভাল রকমে মিশ্রিত হয় না। সাগু দেওয়ার অল্পক্ষণ পরে, উহাতে চিনি বা বাতাসা এবং বাদাম, পেস্তা, কিস্মিস্ দিতে হয়। এই সময় হইতে জলের আঁচ কমাইয়া দেওয়া আবশ্যক; কারণ, শুঁকিয়া বা ধরিয়া উঠিবার সম্ভাবনা। জ্বালে ঘন হইলে পাক-পাত্র উনান হইতে নামাইয়া, অল্প পরিমাণ কর্পূর ও ছোট এলাচের দানা-চূর্ণ উপরে ছড়াইয়া দিয়া লইলে-ই, সাগুর পায়স প্রস্তুত হইল। পীড়িতাবস্থায় যে সাগু আহারের ব্যবস্থা হইলে, অরুচি জন্মে, সেই সাগু এখন কেমন আস্বাদ লইয়া রসনার সহিত আত্মীয়তা করিতে উপস্থিত হইয়াছে, একবার পরীক্ষা করিয়া দেখ।