পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একাদশ পরিচ্ছেদ।
২৪৯

কাঁচা তিলের ছাঁই।

 তিল দ্বারা দুই-প্রকার ছাঁই প্রস্তুত হইয়া থাকে। কাঁচা তিল দ্বারা যে ছাঁই হয়, তাহাকে কাঁচা তিলের ছাঁই কহে। আর তিল ভাজিয়া যে ছাঁই তৈয়ার হয়, তাহাকে ভাঙ্গ তিলের ছাঁই কহিয়া থাকে। ভাজা তিলের ছাঁই অপেক্ষা, কাঁচা তিলের ছাঁই সুখাদ্য এবং তত অপকারক প্রথমে তিল জলে ভিজাইয়া, তাহার খোসা তুলিতে হয়। তিলের খোসা তুলিলে, তাহার বর্ণ সাদা হইয়া থাকে। এই সাদা তিল অল্প পরিমাণে জল-সহ শিলে বাটিতে হয়। বাটিলে উহা কাদার ন্যায় হইবে। এ দিকে গুড় জ্বালে চড়াইতে হইবে এবং ফুটিয়া উঠিলে, তাহাতে তিলবাটা ঢালিয়া দিয়া, ক্রমাগত নাড়িতে নাড়িতে গাঢ় কাদার ন্যায় অল্প চিট্ ধরিলে, নামাইতে হইবে। নামাইবার সময় তাহাতে উপযুক্ত পরিমাণ ছোট এলাচের দানা-চূর্ণ ছড়াইয়া দিতে হয়। ইচ্ছা হইলে, তিল-বাটার সহিত অল্প পরিমাণে নেওয়াপাতি ডাবের নেওয়া বাটিয়া মিশাইতে পারা যায়। কোন কোন পিটাতে পুরে কাঁচা এবং ভাজা তিলের ছাঁই ব্যবহৃত হইয়া থাকে। পৌষ সংক্রান্তির সময় হিন্দুদিগের গৃহে নানা প্রকার পিষ্টক এবং ছাঁই প্রস্তুত হইতে দেখা যায়।

ভাজা তিলের ছাঁই।

 তিল অল্প পরিমাণে ভাজিয়া লইতে হয়। উহা যে বালিখোলায় ভাজিতে হয় না, তাহা বোধ হয় সকলে-ই অবগত আছেন। ভাজা তিল কুটিয়া গুঁড়া প্রস্তুত করিতে হয়। ইচ্ছা হইলে, টাকা খৈয়ের চূর্ণ-ও উহার সহিত মিশ্রিত করিতে পারা যায়। এদিকে গুড় উনানে