ধারোষ্ণ অর্থাৎ দোহনমাত্রে-ই গব্যাদি দুগ্ধ সর্ব্ব-রোগ-নাশক এবং অমৃতের ন্যায় উপকারক। দোহনের পর কিছুক্ষণ অবস্থিত থাকিলে-ই, সেই দুগ্ধ জ্বাল দিয়া পান করিতে হয়। দুগ্ধ প্রাতঃকালে পান করিলে, অগ্নি-বৃদ্ধি, শারীরিক পুষ্টি ও শুক্র বর্দ্ধিত হয়; মধ্যাহ্নে পান করিলে, বলের বৃদ্ধি, কফের নাশ ও মুত্র-কৃচ্ছ্রের নিবারণ হয়। রাত্রিকালে পান করিলে, নানা রোগের শান্তি হইয়া থাকে।
বাল্য, যৌবন ও বার্দ্ধক্যে, সকল কালে-ই দুগ্ধ সমান উপকারী; অতএব, দুগ্ধ সকল সময়ে-ই সুপথ্য। আয়ুর্ব্বেদ মতে নবজ্বর, উদরাময়, শ্লৈষ্মিকপ্রমেহ প্রভৃতি কতিপয় রোগে দুগ্ধ অপকার করিয়া থাকে। মৎস্য, মাংস, লবণ, গুড়, মূলা, শাক ও জাম প্রভৃতি কতকগুলি দ্রব্যের সহিত একত্র দুগ্ধ পান করা উচিত নহে; তাহাতে নানাবিধ রোগ জন্মিতে পারে।
দুগ্ধ পাক করিতে হইলে, চারি ভাগের এক ভাগ জল তাহার সহিত মিশ্রিত করিয়া পাক করিতে হয়। অধিক ঘন করিয়া দুগ্ধ পাক করা উচিত নহে; তাহাতে উহা অত্যন্ত গুরু-পাক হয়, সুতরাং মন্দাগ্নি ব্যক্তিদিগের উদরাময়াদি রোগ জন্মিতে পারে।
দুগ্ধ আবর্ত্তিত করিলে, যে ফেন উদ্গত হয়, তাহা মধুর রস, অগ্নি-বর্দ্ধক, বল-কারক, উৎসাহ-জনক, বাত-নাশক, কৃশ ও মন্দাগ্নি ব্যক্তির বিশেষ উপকারক, এবং জরাতিসার, গ্রহণী ও বিষমজ্বর প্রভৃতিতে অত্যন্ত উপকারক।
পাকা আমের সহিত মিশ্রিত দুগ্ধ মধুর-রস, শীত-বীর্য্য, অত্যন্ত গুরুপাক, রুচি-কর, বল-কারক, বল-বর্দ্ধক, পুষ্টি-জনক, কফ-বর্দ্ধক, এবং বাতপিত্ত-নাশক।