পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮২
মিষ্টান্ন-পাক।

উত্তমরূপে নাড়িতে থাক, বাদামী রঙের হইলে, তখন তাহাতে সমুদায় চিনির রস ক্রমে ক্রমে ঢালিয়া দিয়া, ঘন ঘন নাড়িবে এবং যেমন ঘন হইয়া আসিবে, সেই সময় বাদাম, পেস্তা,কিসমিস্, এলাচ এবং জাফরাণ-গুড়া উহার সঙ্গে মিশাইয়া দিবে। এইরূপভাবে অল্পক্ষণ জ্বালে থাকিলে, উহা বরফির আকারে গাঢ় হইয়া আসিবে। এখন জ্বাল হইতে নামাইয়া, বরফি ঢালার ন্যায় কোন পাত্রে সামান্যরূপ ঘৃত মাখাইয়া, তদুপরি ঢালিয়া দাও। এবং কঠিন হইলে, ইচ্ছামত আকারে কাটিয়া তুলিয়া লও। এই সুমিষ্ট দ্রব্যের নাম মস্থালমান।

ডিমের মলিদা।

 উপকরণ ও পরিমাণ।—}}ময়দা এক সের, ঘৃত বা মাখন আধ পোয়া, মধু ছয় তোলা, চিনি এক পোয়া, ডিম তিনটা।

 ডিমগুলি ভাঙ্গিয়া, তন্মধ্যস্থ শ্বেতাংশে মিহি ময়দায় মাথিয়া, বেশ করিয়া দলিতে থাক। অনন্তর, জল-সংযোগে ঐ ময়দা দ্বারা রুটি প্রস্তুত করিয়া, ঘুঁটের আগুনে পাক কর। পরে তাহা চূর্ণ করিয়া, মধু ও ঘৃত বা মাখন মাথাইয়া আহার করিয়া দেখ, ডিমের মলিদা কিরূপ সুখাদ্য।

 বৈদ্য-শাস্ত্র-মতে মধুর গুণ:—শীতল, মৃদু, স্বাদু, ত্রিদোষ ও ব্রণনাশক, ক্ষায়-সংযুক্ত, রূক্ষ, চক্ষুর দীপ্তি-কারক এবং শ্বাস ও কাস-নাশক। *

  • শীতত্বং মৃদুত্বং স্বাদুত্বং ত্রিদোণনাশিত্বং।

 কথায়ালুরসজং রক্ষবং চক্ষুষ্যত্বং শ্বাসকাসনাশিত্বঞ্চ।
                         ইতি রাজবল্লভ।