পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম পরিচ্ছেদ।
৩১

শ্রান্তি, ক্লান্তি, বমি, আমাতিসার, গ্রহণী, অগ্নি-মান্দ্য, বিসূচিকা, বাতজ্বর ও পাণ্ডু রোগে উপকারক।

ক্ষীর বা মেওয়া।

 নির্জ্জলা দুগ্ধে যেরূপ সুস্বাদু ক্ষীর প্রস্তুত হইয়া থাকে, জল-মিশ্রিত দুগ্ধে সেরূপ ক্ষীর হয় না। এজন্য প্রায়ই দেখা যায়, ব্যবসায়ি গণ উহাতে এরারুট, সুজি এবং পাণিফলের পালো ও চিনি মিশ্রিত করিয়া গাঢ় ও মিষ্ট করিয়া থাকে। খাঁটি দুগ্ধের ক্ষীরের বর্ণ যেরূপ উজ্জ্বল, জল-মিশ্রিত দুগ্ধের ক্ষীরের সেরূপ বর্ণ হয় না; এজন্য নির্জ্জলা দুগ্ধে ক্ষীর প্রস্তুত করা-ই প্রশস্ত। আকার-ভেদে ক্ষীরের ভিন্ন ভিন্ন নাম হইয়া থাকে। তিন ভাগ দুধ মারিয়া এক ভাগ রাখিলে, গাঢ় ক্ষীর হইয়া থাকে। আর সমুদার দুধ মারিয়া এক ভাগ রাখিলে, কঠিন ক্ষীর হয়, ইহাকে-ই খোয়া বা ডেলা ক্ষীর বলে। এই ক্ষীর সন্দেশ, বরফি এবং অন্যান্য প্রকার খাদ্য-দ্রব্যে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। কঠিন ক্ষীর বাটিয়া পাকে ব্যবহৃত হয়।


ক্ষীরের পাতা, ফুল ও ছাঁচ

 ক্ষীর দ্বারা পাতা, লতা, ফুল, ফল এবং নানাপ্রকার আকৃতি বিশিষ্ট ছাঁচ প্রস্তুত হইয়া থাকে। এই সকল দ্রব্য প্রস্তুত করা অতি সহজ। এদেশে রমণীগণ ঐ সকল সুদৃশ্য খাদ্য-দ্রব্য প্রস্তুত করিতে বিশেষ রূপ নিপুণতা প্রকাশ করিয়া থাকেন। দুধ অতি পবিত্র পুষ্টিকর খাদ্য,