বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
মিষ্টান্ন-পাক।

আসিলে, বুঁদে ঝাড়ার ন্যায় ভাজিয়া, চিনির রসে ফেল। অনন্তর, রস হইতে তুলিয়া, মিঠাই বাঁধার ন্যায় বাঁধিয়া লইলেই, গোবিন্-ভোগ প্রস্তুত হইল।

ক্ষীরের মাছ।

 ক্ষীরের ছাঁচ ও নিচু প্রভৃতি প্রস্তুত করিতে যেরূপ ক্ষীর ব্যবহৃত হইয়া থাকে, সেইরূপ ক্ষীরে অল্প পরিমাণে গরম গাওয়া ঘৃত মিশাইয়া, উত্তমরূপে ঠাসিয়া লইবে। যখন দেখা যাইবে, বেশ খিচ্-শূন্য অথচ মোমের ন্যায় নরম হইয়া আসিয়াছে, তখন সেই ক্ষীরের এক একটি গুটি কাটিবে। মাছের ছাঁচে সেই গুটি পুরিয়া, অল্প অল্প চাপে মাছ তৈয়ার করিবে। পরে ছাঁচ হইতে বাহির করিলে-ই, ক্ষীরের মাছ প্রস্তুত হইল। এখন, এই মাছে তিনটি করিয়া কিস্‌মিস্ বসাইয়া দিলে-ই, ক্ষীরের মাছ দেখিতে বেশ সুদৃশ্য হইবে।


ক্ষীরের যোসি।

 ক্ষীরের সহিত অল্প পরিমাণে মিহি ময়দা মিশাইয়া, সরু তারের ন্যায় পাকাইয়া লও। এখন, তাহা নখে করিয়া ছোট অর্থাৎ কিছু লম্বা ধরণে কাটিতে থাক। কাটিতে গেলে, যদি হাতে জড়াইয়া ধরে, তবে হাতে অল্প ময়দা মাখিয়া পাকাইয়া লইবে; আর জড়াইয়া লাগিবে না। এই কর্ত্তিত কুচিগুলি ঘৃতে ভাজিয়া লও। এ দিকে, দুধ জ্বালে অর্দ্ধেক মারিয়া তাহাতে ভাজা কুচিগুলি ফেলিয়া দেও, এবং উপযুক্ত পরিমাণে হয় চিনি নতুবা বাতাসা দিয়া জ্বাল দিতে থাক। ইচ্ছা হয় যদি এই