বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম পরিচ্ছেদ।
৪৭

আসিবে। অনন্তর, কাপড়খানি গুটাইয়া, ঢিলাভাবে পুটলি বাঁধিয়া, একটি বড় হাঁড়ি অথবা পুষ্করিণী প্রভৃতি কোন জল-পূর্ণ স্থানে, উহা ডুবাইয়া রাখিবে। তিন চারি ঘণ্টা পরে দেখিবে, উহা ফুলিয়া, ফাঁপিয়া, উৎকৃষ্ট এক চাপ ছানা প্রস্তুত হইয়াছে। ইহা-ই উৎকৃষ্ট ছানা। এই ছানার সন্দেশ প্রভৃতি প্রস্তুত করিলে, তাহা অতি মধুরাস্বাদনের হয়। সচরাচর গৃহস্থ ঘরে আর একটি সহজ উপায়ে ছানা প্রস্তুত হইয়া থাকে; কিন্তু তাহা তত উত্তম হয় না। দুধ জ্বালের অবস্থায় তাহাতে ছানার জল ঢালিয়া দিয়া, জমান হইয়া থাকে। পরে তাহা নেকড়ার পুটলিতে বাঁধিয়া; জলের মধ্যে ডুবাইয়া রাখা হইয়া থাকে। কিন্তু পূর্ব্বোল্লিখিত নিয়মে ছানা প্রস্তুত করিলে, যেরূপ উত্তম হইবার কথা, ইহাতে সেরূপ হয় না।

 আয়ুর্ব্বেদ-মতে ছানার গুণাগুণ।— অম্ল-মধুর রস, শীতল, গুরু-পাক, নিদ্রা-কারক, বায়ু-নাশক, বল-কারক, পুষ্টি-জনক এবং শুক্র-বর্দ্ধক।

ছানার মুড়কি।

 ছানা-ভাজার ন্যায়, মুড়কির ছানার-ও জল নিঃসরণ করিতে হয়। পরে তাহা ডুমা ডুমা ধরণে কাটিবে। অনন্তর, ডুমা-সমূহ চিনির রসে পাক করিয়া লইলে-ই, ছানার মুড়কি পাক করা হইল। রসে পাক করিয়া, এরূপ অবস্থায় জ্বাল হইতে নামাইবে যেন, উহা জুড়াইয়া আসিলে বেশ খড়-খড়ে হয়, আর যেন রসে আঠা আঠা না থাকে।