বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মিষ্টান্ন-পাক.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।
৫৫

ফুল বা ছোট বাতাসা।

 কের অথবা মাটা চিনির রসে, এই বাতাসা ভাল হইয়া থাকে। বাতাসা প্রস্তুত করিবার খুলিতে চিনির রস তুলিয়া, পাত্রটি জ্বালে বসাইবে। একটি পাত্রে একসের রসের অধিক দিলে, বাতাসা ফেলিতে অসুবিধা হইয়া থাকে। জ্বালের অবস্থায় মধ্যে মধ্যে নাড়িয়া চাড়িয়া দিবে। কিছুক্ষণ পরে কাটির গা হইতে কিছু রস আঙুলে করিয়া লইয়া, অল্প টিপিয়া আঙুল তুলিলে, যদি চিট বোধ হয়, তবে পাত্রটি জ্বাল হইতে নামাইবে; তখন পাত্রের গায়ে কিছু ভাঙ্গা বাতাসার গুঁড়া দিয়া বিচ মারিতে থাকিবে। ফেনা হইয়া উঠিলে, ছিদ্র-পথে এক এক ফোটা, পাটি বা চাটাইয়ে ফেলিতে থাক, জমিয়া উঠিলে-ই তুলিয়া লও, বাতাসা প্রস্তুত হইল। চিনির ন্যায় গুড়ের-ও বাতাসা প্রস্তুত হইয়া থাকে, কিন্তু অগ্রে গুড়ের মাত বাহির করিয়া, খাঁড় তৈয়ার করিবে, পরে সেই খাঁড়ে চিনির বাতাসার ন্যায় অবিকল পাক করিবে।

বড় বাতাসা বা ফেণি।

 চিনি যত সাদা হইবে, বাতাসার-ও রং, সেই পরিমাণে সফেদ হইরে। বাতাসা পাক করিবার জন্য, এক প্রকার মাটির পাত্র ব্যবহৃত হইয়া থাকে ঐ পাত্রের গায়ে একটি ছোট গোল ছিদ্র থাকে। সেই পাত্রে চিনির রস জ্বালে চড়াইবে। রস দেওয়ার সময় যে, সেই ছিদ্র ছিপি দ্বারা বন্ধ করিয়া দিতে হয়, তাহা বোধ হয় সকলে-ই অবগত আছেন, নতুবা ঐ ছিদ্র দিয়া রস পড়িয়া যাইবে। জ্বালের অবস্থায় মধ্যে মধ্যে রস নাড়িয়া