হয়। ভাজার পর-ও অনেকক্ষণ পর্য্যন্ত উহা ফুলা থাকে, এইজন্য ঊহাকে ফুল্কো লুচি কহে।
রাধাবল্লভী লুচি।
অন্যান্য লুচি প্রস্তুতের নিয়মানুসারে ইহার-ও ময়দা মাখিতে হয়। তবে প্রভেদের মধ্যে, উহার আকার অত্যন্ত বড় এবং লুচি বেলিবার সময়, লেচির মধ্যে কলাই-দাইলের পূর দিতে হয়। লুচি এক একখানি থালার ন্যায় হইয়া থাকে। এইরূপ বড় আকারের লুচিকে রাধাবল্লভী লুচি কহে। কেহ কেহ আবার মৌরী-বাটা প্রভৃতি মসলা ও হিঙ্ মাখিয়া-ও ভাজিয়া থাকে। ময়দায় অন্যান্য দ্রব্য মিশাইলে, তাহার আস্বাদন-ও অন্যরূপ হইয়া থাকে।
মাধুরী বা মাধুপুরী।
উপকরণ ও পরিমাণ।—ময়দা এক সের, ঘৃত দেড় পোয়া, চিনি এক পোয়া, জয়িত্রী, গোলমরিচ, বড় এলাচ উপযুক্ত পরিমাণ এবং লবঙ্গ সাতটি।
প্রথমে হামানদিস্তায় অথবা শিলে উত্তমরূপ মসলাদি পেষণ করিবে। অনন্তর, তাহাতে সমুদয় মসলা ও চিনি মিশাইবে। মসলায় যেন খিচ না থাকে। এখন এই মসলা-মিশ্রিত দ্রব্য লেচির ভিতর পূর দিয়া, ভাজিয়া লইবে। এই ভর্জ্জিত লুচিকে মাধুরী বা মাধুপুরী কহিয়া থাকে।