পাতা:মীরকাসিম - অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ পৱিচ্ছেদ Ο ο উঠিল-“যে রাখিতে না পারে, অস্ত্ৰ শস্ত্ৰ তাহার হস্তে শোভা পায় না।” মীর কাসিম সজল নয়নে চাহিয়া দেখিলেন-তাহার শিবির হইতে ছাউনী উঠাইয়া সমরুর সেনাদল সুজা-উদ্দৌলার শিবিরে ছাউনী ফেলিতে আরম্ভ BBDSSYiBDBDDS BBBDBDS DDD DS BBY DDDD DDD কাসিমকে সেলাম করিতে চাহিল না । ইহার উপর ভদ্রতার সূক্ষ্ম আবরণ উন্মুক্ত হইয়া গেল। সুজা-উদ্দৌলার আদেশে সমরুর সেনাদল আসিয়া মীর কাসিমের পটমণ্ডপ অবরুদ্ধ করিলা । চারিদিকে হাহাকার ধ্বনিত হইয়া উঠিল; কেহ তাহাতে কৰ্ণপাত করিল। না। সকলে মিলিযা মীর কাসিমকে বন্দীবেশে টানিয়া লইয়া গেল ;- পটমণ্ডপ লুষ্ঠিত হইল ;-মহিলাবর্গের বস্ত্রাভ্যন্তরেও তস্করের কঠোর হস্ত প্রসারিত হইল - দেখিতে না দেখিতে, মীর কাসিমের সর্বস্ব অপহৃত হইযা গেল। এই লুণ্ঠন-ব্যাপারে একজন ভিন্ন মীর কাসিমের অনুগত ভৃত্যবৰ্গও বিশ্বাসঘাতকতা করিতে ক্ৰটি করিল না । কেবল একজন তাহার নাম ইতিহাসে অমর হইয়া রহিয়াছে।--কেবল একজন---শেখ মহম্মদ অসুর-কিছু ধনরত্ন লইয়া গোপন পথে রোহিলাখণ্ডে পলায়ন করিয়া, মীর কাসিমের পরিবারবর্গের গ্রাসাচ্ছাদনের সংস্থান করিয়া, র্তাহার মুক্তিলাভের প্রতীক্ষা করিতে লাগিল । এদিকে সুজা-উদ্দৌলা বকসারে বসিয়া নৃত্যগীতে চিত্তবিনোদন করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন ; মেজর কার্ণাকের ব্যবহারে ইংরাজশক্তির দুর্বলতা লক্ষ্য করিয়া, সুজা-উদ্দৌলা আত্মরক্ষার জন্য ব্যস্ত হইলেন না। মেজর মনরো তাহার সন্ধান লাভ করি যা যুদ্ধ-যাত্ৰা করিলেন। আরার নিকটে উপনীত হইবামাত্র ইংরাজবাহিনী বাধা প্ৰাপ্ত হইল । নবাবের অশ্বসেনার প্রবল পরাক্রমে ইংরাজ-সেনা ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়িল। সম্মুখে অগ্রসর হওয়া দূরে থাকুক, পশ্চাতে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করাও কঠিন হইয়া উঠিল। ইংরাজ-সেনানায়কগণ অশ্ব-সহ নালা উলঙ্ঘন