পাতা:মুকুট - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
মুকুট

দ্বিতীয় দূতের প্রবেশ

 রাজধর। কে তুমি।

 দ্বিতীয় দূত। আজ্ঞে আমি ব্যোমকেশ— যুবরাজ আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছেন—সেও প্রায় দুই প্রহর হয়ে গেল—আপনার যেখানে সৈন্য নিয়ে থাকবার কথা ছিল সেখানে আপনার কোনো চিহ্ন না পেয়ে বহু সন্ধানে এখানে এসেছি।

 রাজধর। যুবরাজের আদেশ কী।

 দূত। শত্রুসৈন্যর সংখ্যা আমরা যে-রকম অনুমান করেছিলুম তার চেয়ে অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে— যুদ্ধ খুব কঠিন হয়ে এসেছে। কুমার ইন্দ্রকুমার তাঁর অশ্বারোহীদল নিয়ে শত্রুসৈন্যের উত্তর দিক আক্রমণ করেছিলেন, আর কিছুক্ষণ সময় পেলেই তিনি সেদিক থেকে শত্রুসৈন্যকে একেবারে নদীর কিনারা পর্যন্ত হঠিয়ে আনতে পারতেন।

 রাজধর। সত্যি নাকি। সময় পেলে কী করতে পারতেন সে-কথা কল্পনা করে বিশেষ লাভ দেখি নে— কিন্তু সময় পান নি ব’লেই বোধ হচ্ছে।

 ২য় দূত। শত্রুসৈন্যকে যখন প্রায় টলিয়ে এনেছেন এমনসময় খবর পেলেন যে, যুবরাজ সংকটে পড়েছেন,