পাতা:মুক্তি-পথে - গোপীপদ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।



মুক্তি-পথে

 সরোজ—যতদিন এই বাস্তব জগতে থাকবে, ততদিন এই অস্থিরতার হাত এড়াতে পারবে না। তারপর একদিন দেখবে, জগতের সমস্ত দূর হয়ে গেছে এই দর্শনের মহিমায়। ব্যস্!

 বিপিন—ভাষা-জ্ঞান যাদের নেই, তাদের আবার দর্শন, বিজ্ঞান আর কবিতা? স্বর্গীয় স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় বাঙ্গালীর এই দীনতা বুঝতে পেরেই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে পৃথিবীর নানা দেশের ভাষা শিক্ষাদানের এক বিরাট শিক্ষা-কেন্দ্রে পরিণত করেছিলেন। তাই সেখানে শিক্ষা দেওয়া হয়—ফরাসী, জার্ম্মানী, লাটিন, টামিল, টেলেগু, আসামী, হিন্দী, নেপালী, গুজরাটি, মারহাটি—

 প্রকাশ—বর্ব্বটি, পর্প্পটি—রক্ষা কর বাবা! থাম থাম, খুব হয়েছে, আর কপচিও না।

[ চাকরের প্রবেশ ]

 মধু—হুজুর, এক ভদ্দর লোক এসেছেন, আপনার সঙ্গে দেখা করতে চান।

 প্রকাশ—আচ্ছা, তাঁকে আসতে বল। এই করতেই ত’ আছি।

[ নগেন্দ্রের প্রবেশ ]

 নগেন্দ্র—নমস্কার। আমি “আর্য্যস্থান সুগার কোম্পানীর” শেয়ার বিক্রী করি। দেখুন, আপনারা সবাই দেখুন (কাগজ এক একখানি করিয়া বিলি করিলেন) আমাদের গরীব দেশ। একজনের পয়সায় কোনো শিল্প-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবার উপায় নেই। তাই লিমিটেড কোম্পানীর প্রসার দরকার হয়ে পড়েছে। দেখুন এদের মূলধন ২ লক্ষ টাকা। সব বড় বড় ব্যবসাদাররা হচ্ছেন এর পৃষ্ঠপোষক।