পাতা:মুক্তি-পথে - গোপীপদ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি-পথে ১৯ ( অন্ধের দিকে তাকাইয়া ) ব:, ইনি যে আবার একটু মিট মিট করে তাকাচ্ছেন! আবার পুট্ পুটু করে একটু হাসিও হচ্ছে । মারব বেটার কাণ টেনে থাপ্পড় ! বদমাইসি করার আর জায়গা পাওনি ? বিপিন—আহ কর কি, কর কি ? ও যে ভাষায় কিছু ভুল করে নি। ষোল আনাই শুদ্ধ করে বলেছে। প্রকাশ—দুষ্ট লোকদের একটা স্বভাব দেখবে, তারা কথায় খুব দুরন্ত। কেমন বলা হচ্ছে “গরীব অন্ধটিকে একটা পয়সা দাও না বাব!” বাপু, তোর যে অন্ধত্ব কোন খানে, তা ত কিছুই টের পেলাম না। কলকেতার রাস্তায় এই রকম ডাগর ডাগর চোখওয়ালা অন্ধ যে কত, তার কি ইয়ত্ত আছে ? * অন্ধ—( চোখ খুলিয়া ) বাবু, ভিক্ষে দেবে না তো তাই বল। আত গালাগালি পাড়চ কেন ? তোমার মত একজন আমাকে না দিলে কি হয় ? এই দেখ আমার আজকের রোজগার এক টাকা বারো আনা তিন পয়সা । বি-এ, পাশ করে কত রোজগার করতে পার ? পলায়ন ] যাইবার সময় বিপিনের বুক-পকেট হইতে টাকা সহ রুমাল লইয়া পলায়ন ] বিপিন–কিন্তু যাই বল না কেন প্রকাশ বাবু, এর টনটনে ভাষাজ্ঞান আছে। কথার মধ্যে জড়তা কিংবা অস্পষ্টত-দোষ নাই। ষোলো আনাই পরিষ্কার। বিশুদ্ধ ভাষা। প্রকাশ—রেখে দাও তোমার ভাষা ! দেশের লোক এক দিকে মুক্তি খুঁজছে, আর এক দিকে তারা এই সব চোর-ডাকাতের প্রশ্রয় দিচ্ছে। এদের ধরে একে একে জেলে দেওয়া উচিত। যে জাতির আত্মসম্মান-জ্ঞান নেই, তারা আবার চায় মুক্তি !