পাতা:মুক্তি-পথে - গোপীপদ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি-পথে 8X শিয়ালদ ষ্টেশন থেকে হাওড়া হাট, আর হাওড়া হাট থেকে শিয়ালদা ষ্টেশন—এই করে তবেই ত আজ সে দু’পয়সার মুখ দেখতে পেরেছে। নাচ আর গান না জানলে কি এমন তাতের মাকুর মত এধার-ওধার করতে পারে,–চরকির মত এমন ঘুরপাক খেতে পারে! সরোজ—দর্শন, দর্শন, দর্শনই তাকে মুক্তি দিয়েছে। কবিতা নয়, নৃত্য নয়, সঙ্গীত নয়। দর্শনই তাকে দিয়েছে দিব্য জ্ঞান । প্রকাশ—আর সেই দিব্য জ্ঞান পেয়ে সে এখন বুঝতে পেরেছে অর্থই এই বিংশ শতাব্দীর যুগে একমাত্র বল—সাহিত্য নয়, দশন নয় । সরোজ–কি, তুমি আবার আমার দর্শনের নিন্দে করছ? প্রকাশ–আরে রাখে ভাই তোমার দর্শনশাস্ত্রের বিদ্যে। এখন যদি দু’টো পেটে খেতে চাও, তবে ও-পথ ছাড় । বস্তুজগতের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সংস্কৃতির কল্পলোকে বিচরণ করে, আর দেশের দারিদ্র্যের বোঝা বাড়িও না। অর্থনীতির দিকে একটু একটু মন দাও । হা, যাকে তোমরা Philosophyর M. A. বলছ সে কে জান ? তার নাম শ্ৰীনীহাররঞ্জন ভট্টাচাৰ্য্য। ব্রাহ্মণের ছেলে । এই আজ সকালেই তার কাছ থেকে এই চিঠি এসেছে। সকলে—(ব্যস্ত হইয়া ) কি, কি, আমাদের কোন নিন্দে করে নি ত ? প্রকাশ–না, না, উণ্টে তোমাদের নিমন্ত্রণই করেছে সে। আমাকে জানিয়েছে যে, নিজের চেষ্টায় দেশে বেশ সুন্দর একটা জাম-কাপড়ের দোকান করেছে। এই শুভ পয়লা বৈশাখে তার দোকান-ঘর উদ্বোধন করা হবে। আমার উপরই সেই ভার দিয়েছে সে । তোমাদেরও সঙ্গে নিয়ে যাবার জন্যে বিশেষ করে লিখেছে। কেমন যাচ্ছ তো ?