পাতা:মুক্তি-পথে - গোপীপদ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি-পথে 86t ক্ষুত্র আমরা, নাহিক শকতি, নিবেদন করি প্রাণের ভকতি, হে মহা অতিথি, লহ প্রেম-প্রীতি গীতি-গাথা সহকারে । প্রকাশ—সমবেত ভদ্র-মণ্ডলী । আজ আপনারা আমাকে এই সভায় সভাপতির আসনে বরণ করে যে সম্মান দেখিয়েছেন, সে জন্য আমি নিজেকে ধন্য মনে করি । আপনার আমার আন্তরিক অভিবাদন গ্রহণ করুন । আজিকার এই উৎসব নূতন বাংলার এক নব যুগের স্বচন৷ কচ্ছে। ব্যবসায়-ক্ষেত্রে বাঙ্গালী পৃথিবীর সমস্ত জাতির পশ্চাতে—এই অপমান অপনোদনের সময় আজ এসেছে। শিক্ষিত ভদ্র সন্তান দাসত্বের মোহপাশ থেকে মুক্ত হয়ে ব্যবসায়ীর স্বাধীন জীবন অর্জনের জন্য আজ সচেষ্ট। ব্যবসায়ের প্রধান উপাদান শ্রমের মর্য্যাদা-জ্ঞান। আজ সত্য সত্যই বাঙ্গালী বুঝতে পেরেছে তাদের চিরাচরিত জীবনযাত্রার প্রণালীর পরিবর্তন চাই। তরুণ বাংলার আদশ শ্ৰীমান নীহাররঞ্জনের অভিজ্ঞতা বাঙ্গালী যুবক-সমাজের চরম আদর্শ হউক । আশীৰ্ব্বাদ করি, আজ বাংলার এই ক্ষুদ্র সহরে যে প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হল, কালক্রমে তা একটি বিরাট ব্যবসায়-কেন্দ্রে পরিণত হবে। [ ঘন ঘন করতালি-ধ্বনি, প্রকাশ বাবু দোকান-গৃহের দ্বারোদঘাটন করিলেন । ] নীহার—( দুইটি ছেলেকে দেখাইয়া) এই ছেলে দু'টি এই গ্রামের উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয়ে পড়ে এবং আমার এই দোকানে শিক্ষা নবিলী করে।