পাতা:মুক্তি - অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অঙ্ক শাণ্ডি । এই বেটাকেই যেন সাপে কামড়েছে। কঁদিছে—গোট লাল ভাঙ্গ ছে। ব্যাটা কেঁদে লাল ফেলে আমায় জিতবে ? অামি বাঙ্গালীর ছেলে । দাড়াও আমিও দেখাচ্ছি ( ক্রনন ) হা হা, বাসস্তিকে, হে হে বাসস্তিকে । সারিক । ওমা বাসিরে ! পরী ; ওগো দিদিমণি গো ! বৈদ্য । আহা কঁাদ কেন ? এখনি সব হাসতে হাসতে বাড়ী যাবে । দাড়াও, এই গণ্ডীর বছর দেখ । ( গণ্ডী দেওন ) কুগুলী কুণ্ডলী দীঘঘ ফণা, মাথায় চক্কোর কেউটে সোণা, কুগুলী কুণ্ডলী সাপের রাজা, পদ্ম গোখরো আভাঙ্গ তাজা, মনসা মায়ের নামের গণ্ডী, শিবের বুকে নাচেন চণ্ডী— কুণ্ডলী কুণ্ডলী বিষটি নামে—রোজার পোলার কপাল ঘামে ! ( স্বগত ) কই বাবা, কপাল যে চচ্চড় ক’রছে। একফোটাও ঘাম নেই যে। এ কি হোল ? বাস । হে বৈদ্য, বৃথা কেন পরিশ্রম ক’রছ ? তুমি আমায় চেনন ? লছমন ঝোলা থেকে তিব্বত ঘুরে এসেছি। আমার কাছে বিষের চিকিৎসা করতে এসেছ ? বল দেখি, বিষবেগ কর প্রকার ? θα