পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এদেশের ধারাবাহিক ইতিহাস লেখা যে মুকঠিন তাহাতে সন্দেহ নাই । সংস্কৃতে ও বাঙ্গলায় ইতিহাস সংজ্ঞা ব্যাপকৰূপে ব্যবহৃত হয়, ইংরাজীর দ্যায় তাহ ব্যাপী নহে। সেই জন্য গ্রন্থকার গ্রন্থের নাম “মুর্শিদাবাদের ইতিহাস’ দিয়াছেন। তিনি ইহাকে ইংরাজী প্রথানু্যায়ী ইতিহাসরূপে লিপিতে আরম্ভ করেন নাই। এই গ্রন্থে মুসন্মান রাজত্বের রাজনৈতিক বিপ্লবের মধ্যে এদেশের যৎসামান্য ব্যক্তিগণের যত কাৰ্য্য ও কীৰ্ত্তি যাহা কিছু প্রকাশিত হইয়াছিল, যথাসাধ্য তাঁর বিবরণ সংগ্ৰহ করির গ্রন্থকার তৎসমুদয় প্রদান করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। গ্রন্থকারের আশঙ্কা ছিল যে, সাধারণের নিকট হয়ত সে সমস্ত বিষয়,প্রতিপ্রদ হইবে না। কিন্তু সে দিবস বঙ্গের সাহিত্যরথী রবীন্দ্রনাথের “ভারতবর্ষের ইতিহাস” নামক প্রবন্ধ শ্রবণ করিয়া গ্রন্থকারের গে আশঙ্কা অনেক পরিমাণে দূরীভূত হইয়াছে। রবীন্দ্রনাথ মুসল্মান রাজনৈতিক বিপ্লবের মধ্য হইতে আমাদিগের পূর্ব পুরুষগণের ভঃ মন্দির ও অট্টালিকার ভগ্নস্তুপের বিবরণের সহিত তাহাদিগের যৎ সামান্য উদ্যমকে ইতিহাসের পৃষ্ঠায় দেখিতে ইচ্ছা করেন। গ্রন্থকার, সেই বিষয়ে একটু সামান্য চেষ্টা করিয়াছেন বলিয়া তিনি আজ যার পরনাই আনন্দিত। বিশেষতঃ তাহার পূৰ্ব্বোক্ত আশঙ্ক দুীস্থত হওয়ায় তিনি অত্যন্ত সুখী। ফারদী গ্রন্থ ও দলিলাদি পাঠ ও আই বাদের জন্য গ্রন্থকার বহরমপুর কলেজের আরবীর ও ফারসীর অধী পকমৌলবী মহম্মদ মীজুদীনের নিকট হইতে অনেক সাহায্য প্রাপ্ত হইয়াছেন। জগৎশেঠ, বঙ্গাধিকারী, কুঞ্জঘাট প্রভৃতি প্রাচীন বংশের বংশধরগণ তাদের কাগজপত্র পরিদর্শন করার অনুমতি দিয়া গ্রন্থ কারকে অনুগৃহীত করিয়াছেন। গণকরের বাবু দুর্গাদাস झंझ