পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2.8 to মুর্শিদাবাদের ইতিহাস ভয়হ,পে পরিণত হইয়াছে। সেই সমস্ত স্তুপ খনন করিলে প্রস্তর ও ইষ্টকখণ্ডসমূহ বহির্গত হয়। ঐ সমস্ত স্তুপের মধ্যে দুইটী পুষ্করিণী দৃষ্ট হইয়া থাকে, তাহাদের মধ্যে একটা গোলাকার। উক্ত গোল পুষ্করিণীর চারি পাশ্বেই প্রস্তর ও ইষ্টকস্তুপ। তন্মধ্যে পশ্চিম পাশ্বের স্তুপই সৰ্ব্বোচ্চ। উক্ত সৰ্ব্বোচ্চ স্তুপের উত্তরপশ্চিম কোণে আর একটা পুষ্করিণী, তাহার নিকটে দুইটা খাদ আছে । এইরূপ প্রবাদ যে, তথা হইতে বড় বড় প্রস্তর উত্তোলিত হইয়া স্থানান্তরে নীত হইয়াছে । পুষ্করিণী দুইটা আজিও সম্পূর্ণরূপে শুক হর নাই, কিন্তু তাহার এরূপ জঙ্গলাবৃত হইয়া গড়িয়াছে যে, তাহাদের জল ব্যবহার করা যারপরনাই দুষ্কর । স্ত,পগুলির উপর বেল, কপিখ, তেঁতুলপ্রভৃতি বৃক্ষ ও নানাপ্রকার জঙ্গল জন্মগ্রহণ করিয়া তাহাদিগকে অগম্য করিয়া তুলিয়াছে। স্থপগুলির চারিপাশ্বের জমি কৰ্ষিত হইয়া শস্ত উৎপাদন করিতেছে । কিন্তু সেই সমস্ত জমি হইতে কর্ষণকালে ইষ্টকচূর্ণ বহির্গত হইয়া পাকে। স্তুপের নিকটস্থ ভূমিতে একখানি প্রস্তরখণ্ড পড়িয়া আছে, তাহার আকার হস্তীর স্তায় বোধ হয়। * দত্ত ও কর্ণ হস্তীর হ্যায় বটে, কিন্তু দুইট শৃঙ্গও বিদ্যমান আছে। এই অস্বাভাবিক প্রতিমূৰ্ত্তিকে সাধারণ লোকে রাক্ষসের দেহ বলিয়া থাকে । ] সম্ভবতঃ তাহা কোনও বৌদ্ধদেবমন্দিরসংলগ্ন প্রস্তরখণ্ড হইবে । এতদ্ভিন্ন স্তুপগুলিতেও অনেক প্রস্তরখণ্ড দৃষ্ট হয়। মহীপাল গ্রামে এক্ষণে কয়েক ঘর কৃষক ও সাওতালের বাস। ইহার নিকটে প্রস্তরখানি দৈর্বে ৩ হাত, প্রন্থে ১৩ । ১৪ ইঞ্চ ও বেধ ৭ ৮ ইঞ্চ হইৰে । : : - f রাঙ্গনালির লড় পন্থ পশুর খণ্ডের নাম ও রক্ষিসের দেহ ।