পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ 88 মুর্শিদাবাদের ইতিহাস। সাগরদীর্ঘীর খননসম্বন্ধে একটী গল্প প্রচলিত আছে। এক সময়ে রাজা মহীপাল, র্তাহীর মহিষী, অন্যান্ত পরিজন ও অনুচরবর্গসহ রাজধানী মহীপাল হইতে স্থানান্তরে গমন করিতেছিলেন । এক্ষণে যে স্থানে সাগরদীঘী - খনিত হইয়াছে; তথায় উপস্থিত হইয়া কিয়ংকাল বিশ্রামের জন্ত শিবির সন্নিবেশ করেন। বহু অনুচরসহ রাজাকে তথায় উপস্থিত হইতে দেখিয়া झुइँछौ ভয়বিহ্বল ব্রাহ্মণতনয় একটী বৃক্ষের উপর আশ্রয়গ্রহণ করে। তাহারা এতদূর ভীত হইয় পড়ে যে, বহুক্ষণপৰ্য্যন্ত বৃক্ষ হইতে অবতরণ করিতে সাহসী হয় নাই। তাহদের মধ্যে একটা ভয়ে ও কষ্টে প্রাণ পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হয় । রাজার অনুচরগণ দ্বিতীয়টাকে । দেখিতে পাইয়া তাঁহার সহচরের মৃতদেহসহ তাহাকে বৃক্ষ হইতে অবতরণ করাইয়ী রাজাকে সমস্ত ব্যাপার জ্ঞাপন করিলে, রাজী অত্যন্ত ভীত ও ছুঃখিত হইয়া পড়েন, এবং তাছার জন্স ব্ৰহ্মহত্যা সংসাধিত হইয়াছে মনে করিয়া তাহার প্রায়শ্চিত্তের ব্যবস্থার জন্ত পণ্ডিতগণকে জিজ্ঞাসা করেন। পণ্ডিতগণকর্তৃক এইরূপ ব্যবস্থা প্রদত্ত হয় যে, রাজা ও রাণী পদব্রজে যতদূর গমন করিতে পারবেন, ততদুরপর্যন্ত সাধারণের হিতার্থে একটা জলাশয় খনন করাইয়া দিলে তাহার পাপমোচন হইতে পারে । রাজা ও রাণী প্রায় অৰ্দ্ধক্রোশ পৰ্য্যস্ত পদব্রজে গমন করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন, সেই জন্য সাগরী দৈর্ঘ্যে প্রায় অৰ্দ্ধক্রোশ খনিত হয়। এই গল্প কতদূর সত্য তাহ বলা যায় না, তবে সাগরদীবীর প্রস্তরফলকে লিখিত শ্লোকে দেখিতে পাওয়া যায় যে, ব্ৰহ্মহত্যার মুক্তির জন্ত উক্ত দী খনিত হইয়াছিল, সুতরাং উক্ত প্রবাদের কিছু মূল থাকিলেও থাকিতে পারে। পালবংশীয়ের সাধারণতঃ