পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీః মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । শতাব্দীর শেষভাগপৰ্য্যস্ত প্রায় চারিশত বৎসর বঙ্গদেশে পাঠানপ্রভুত্ব অক্ষুণ্ণ থাকায়, তাহার অনেক স্থানে বিশেষতঃ পশ্চিম বঙ্গে পাঠানরাজত্বের নানাপ্রকার নিদর্শন দেখিতে পাওয়া যায়। আমাদের মুর্শিদাবাদ-প্রদেশেও তাহার কিছু কিছু চিহ্ন দৃষ্ট হইয়া থাকে। মুর্শিদাবাদের যে যে স্থানে পাঠানরাজত্বকালের বিশেষরূপ নিদর্শন পরিলক্ষিত হয়, আমরা ক্রমে ক্রমে তাহাঁদেরই উল্লেখে প্রবৃত্ত হইতেছি । সৰ্ব্বপ্রথমে পশ্চিম মুর্শিদাবাদের অন্তর্গত গয়সাবাদনামক স্থানে আমাদের দৃষ্টি নিপতিত হয় । গরসাবাদ আজিমগঞ্জ রেলওয়েষ্টেশন হইতে প্রায় সাৰ্দ্ধ দুই ক্রোশ উত্তর-পশ্চিমে ভাগীরথীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত । গয়সাবাদ অনেক দিন পর্য্যস্ত মুর্শিদাবাদের একট প্রধান স্থান বলিয়া পরিচিত ছিল। যদিও তাহা এক্ষণে একটী সামান্ত গ্রামে পরিণত হইয়াছে, তথাপি তাহার চতুর্দিক পরিভ্রমণ করিলে এক কালে তাহা যে একটা প্রসিদ্ধ নগররূপে বিদ্যমান ছিল, তাহা স্পষ্টই প্রতীত হইয়া থাকে । এই গয়সাবাদ পূৰ্ব্বকালে প্রাচীন মহীপালনগরের একাংশ ছিল বলিয়া অম্বুমাল হয়। বর্তমান মহীপাল গ্রাম হইতে গয়সাবাদ তিন ক্রোশ দূরে অবস্থিত। মহীপালনগরের প্রস্তর ও ইষ্টকরাশি লইয়া উত্তরকালে গল্পসাবাদ পুনৰ্নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। গয়সাবাদের রাজপথে এক্ষণেও অনেক প্রস্তরখণ্ড প্রোথিত দৃষ্ট হইয়া থাকে। ফলতঃ মহীপাল হইতে গয়লাবাদ পৰ্য্যন্ত সমস্ত স্থানই একটা প্রসিদ্ধ নগরের ধ্বংসাবশেষ বলিয়া বোধ হয়। এইরূপ প্রবাদ প্রচলিত আছে যে, গৌড়ের সুলতান গয়স উদ্দীনের সময় গয়সীবাদ ।