পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । ➢ “ጎ» দেখা যায়। তন্মধ্যে সালার, তালিবপুর, সিজগ্রাম প্রভৃতি স্থানের নাম উল্লেখ করা যাইতে পারে। উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ ও সন্ত্রাপ্ত মুসন্মানসম্প্রদায় ব্যতীত ফতেসিংহে এক শ্রেণীর ব্রাহ্মণগণের ষথেষ্ট প্রভূত্ব দেখা যায়। র্তাহার জিঝৌতিয়া নামে প্রসিদ্ধ। এই জিঝৌতিয়াগণই খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগ হইতে ফতেসিংহের ভূম্যধিকারীরূপে পরিচিত হইয়া আসিতেছেন। যদিও মুর্শিদাবাদের মাননীয় নবাব বাহাদুর সম্প্রতি ইহার অৰ্দ্ধাংশের ভূস্বামী হইয়াছেন, তথাপি অপরাদ্ধ সেই জিঝৌতিয়াগণের ভূমিস্বরূপে বিদ্যমান আছে ৷ পর অধ্যায়ে উক্ত জিঙ্কোতিয়াগণের বিবরণ বিস্তৃতভাবেই উল্লিখিত হইবে । ফলতঃ ফতেসিংহ উত্তররাঢ়ীয় কায়স্থ, সন্ত্রাস্ত মূসন্মানবংশীয়গণ ও জিঝৌতিয়া ব্রাহ্মণগণের প্রধান আবাসস্থান বলিয়া প্রসিদ্ধ। ফতেসিংহ ব্যতীত মুর্শিদাবাদের অন্যান্ত কোন কোন স্থানও সন্ত্রাস্ত মুসন্মানগণের আবাসস্থান বুলিয়া পরিচিত ! w পশ্চিম মুর্শিদাবাদের ন্যায় পুৰ্ব্ব মুর্শিদাবাদেরও স্থানে স্থানে পাঠানরাজত্বকালের চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। সেই সমস্ত স্থানের মধ্যে চুণাখালির নাম উল্লেখ- চুপাখালি । যোগ্য । চুণাখালি বহরমপুর হইতে প্রায় দুই ক্রোশ উত্তর-পূৰ্ব্ব, মুর্শিদাবাদ হইতে ১॥৩ ক্রোশ দক্ষিণ-পূৰ্ব্ব, ও কাশীমবাজারের নিকটস্থ । চুণাখালি মুসন্মানরাজত্বের পূর্ব হইতেও প্রসিদ্ধ হইয়া উঠিয়াছিল। কিন্তু পাঠানরাজত্বকাল হইতে ইহ বিশেষরূপে পরিচিত হইয় উঠে, এবং উক্ত নাম প্রাপ্ত হয় । ণাঠানরাজত্বকালে ইহার প্রসিদ্ধি বিস্তুত হওয়ায়, আকবর স্বাদসাহের পরগণবিভাগকালে চু৭াখালির নামানুসারে সরকার