পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bూ 8 মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । চাদপাড়া ব্যতীত মুর্শিদাবাদের আর একটা স্থানের সহিত হোসেন সাহার নাম বিজড়িত আছে। সাধারণ লোকে সেই স্থানটীকে ‘জীয়ৎকুড়ি বলিয়া থাকে। জীয়ৎকুড়ি জীবৎকুণ্ডের অপভ্রংশ। এই স্থান মুর্শিদাবাদের অন্ততম উপবিভাগ জঙ্গীপুর হইতে ৬। ৭ ক্রোশ উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত। যে কুণ্ডের নামানুসারে স্থানটীর নামকরণ হইয়াছে, তাহা এক্ষণে একটা ক্ষুদ্রায়তন পুষ্করিণীর জলশূন্ত পরিণাম বলিয়া বোধ হয় । পুষ্করিণীট আকারে ক্ষুদ্র হইলেও এক কালে তাহ যে অত্যন্ত গভীর ছিল ইহ স্পষ্টই অনুমিত হইয়া থাকে। ঐ পুষ্করিণীর উচ্চ পাহাড়ীর উপরিভাগে চারিদিকে কিছু দূর ব্যাপিয়া ইষ্টকনিৰ্ম্মিত গৃহাদির ভগ্নাবশেষ ও দেবদেবীর ভগ্ন প্রতিমূৰ্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। ঐ শুষ্ক পুষ্করিণীর গর্ভে একটা অৰ্দ্ধপ্রোথিত দেবীমূৰ্ত্তি অদ্যপি বিদ্যমান আছে। পাহাড়ীর উপরিস্থিত ইষ্টকস্তুপ ও ইতস্তত: বিক্ষিপ্ত দেবদেবীর মুদ্ভিদর্শনে সহজেই অনুমান হয় যে, ঐ কুও বা পুষ্করিণীর পাহাড়ে এক বা ততোধিক দেবালয় প্রতিষ্ঠিত ছিল। তাহার কিছু দূরে একটা বৃহদায়তন পুষ্করিণী ও ইতস্ততঃ অন্তান্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুষ্করিণীর চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়। এই স্থান হইতে অনেক লোকে রাশি রাশি ইষ্টক উত্তোলন করিয়াছে । ঐ সকল ইষ্টক আয়তনে ক্ষুদ্র, এবং দেখিলেই সহজে প্রাচীন কালের ইষ্টক বলিয়া বুঝিতে পারা যায়। জীয়ৎকুঁড়ির উত্তর দিকে একটা প্রশস্ত ইষ্টকময় রাজপথের কিয়দংশ অদ্যাপি দৃষ্ট হইয়া থাকে, কিন্তু তাহ এক্ষণে মৃত্তিকাবৃত। ইহার নিকটস্থ কৃষকদিগের মধ্যে কেহ কেহ অস্ত্র ও মুদ্রাদি প্রাপ্ত হইয়াছে বলিয়া শ্রত হওয়া যায়। ফলত; স্থানটী পর্যবেক্ষণ করিলে এইরূপ উপলব্ধি হয় যে, প্রাচীন কালে জীয়ৎর্কড়ি !