পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৫৮ মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । ন্সিলের সভ্য মিষ্টার বোণ্ট ১৭৬০ হইতে ৬৭ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত কাশীমবাজারে কুঠীয়াল অবস্থায় থাকিয় ৯ লক্ষ টাকা উপার্জন করিয়াছিলেন । ১৭৭৯ খৃষ্টাব্দে কর্ণেল রেনেল লিখিয়াছেন যে, মালদহ ও রাজমহলের ধ্বংসের পর কাশীমবাজার যথেষ্ট উন্নতিলাভ করিয়াছে । এই স্থান বাঙ্গলার রেশম ও তুলার সাধারণ আড়ঙ্গ, এবং এইখান হইতেই এসিয়ার সর্বত্র ঐ সমস্ত দ্রব্যের রপ্তানী হইয়া থাকে । ইউরোপীয়গণ ইহার বাজারে ৩ লক্ষ হইতে ৪ লক্ষ পাউণ্ড বা ৩৭৫০ হইতে ৫ হাজার মণ ওজনের রেশম ক্রয় করিয়া থাকেন । * কাশীমবাজারের বানকের মূল্য এককালে ২০ লক্ষ টাকা অনুমিত হইয়াছিল। ১৭৯০ খৃঃ অব্দে জোজেফ বরডিউ কাশীমবাজার কুঠীর ফ্যাক্টর বা প্রতিনিধি ছিলেন। উক্ত খৃষ্টাব্দের আগষ্ট মাসে তাহার মৃত্যু হয়। বাণিজ্যবিষরের ন্যায় স্বাস্থ্যবিষয়েও কাশীমবাজার বাঙ্গলার মধ্যে অষ্টাদশ শতাব্দীতে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রারস্তে কাপ্তেন হ্যামিণ্টন লিখিয়াছেন যে, কাশীমবাজারেয় চারি পার্থের স্থান স্বাস্থ্যকর ও উৰ্ব্বর, এবং ইহার শ্রমশীল অধিবাসিগণ নানা প্রকার দ্রব্যের চাষ করিয়া থাকে পলাশীযুদ্ধের পর কলিকাতা ও চন্দননগরে যে সমস্ত ইউরোপীয় সৈন্ত ছিল, তাহাঁদের মধ্যে অধিকাংশই পীড়িত হইয় পড়ে, কিন্তু কাশীমবাজারের ২৫ • সৈন্তের মধ্যে ২৪০ জন সুস্থ শরীরে ছিল । ১৭৬৮ খৃষ্টাব্দে ইউরোপীয় সৈন্তদিগকে কলিকাত অপেক্ষা কাশীমবাজারে রাখা Hunter's Statistical Account. Hunter. Orme.