পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। R\లt কোন কোন চিহ্ন অদ্যাপি কাশীমবাজারে দৃষ্ট হইয়া থাকে। তন্মধ্যে নেমিনাথের মন্দিরই উল্লেখযোগ্য। মন্দিরট মুর্শিদাবাদের জৈনগণের যত্নে অদ্যাপি স্বসংস্কৃত অবস্থায় বিদ্যমান আছে। নেমিনাথ জৈনগণের চতুবিংশ তীর্থঙ্করের অন্যতম। এই মন্দিরে শ্বেতাম্বর জৈন সম্প্রদায়ের সমস্ত তীর্থঙ্করের মূৰ্ত্তিই আছে, তবে নেমিনাথ প্রথমে প্রতিষ্ঠিত হন বলিয়া মন্দিরট উাহার নামেই প্রসিদ্ধ। নেমিনাথের মূৰ্ত্তি প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত, মন্দিরটা পশ্চিমমুখে অবস্থিত। মন্দির প্রাঙ্গণটীও পরিচ্ছন্ন। মন্দিরের পশ্চাতে একটা সুড়ঙ্গ আছে, মন্দিরে অনেকগুলি দর্শনীয় পদার্থ আছে । শ্বেতাম্বরী সম্প্রদায়ের দেবতা ব্যতীত দিগম্বর জৈন সম্প্রদায়ের দেবতাদিগের মূৰ্ত্তিও মন্দিরে দৃষ্ট হয়। ইহার নিকটে মধুগেড়ে নামে একটা প্রাচীন পুষ্করিণী আছে। এককালে তাহার চতুর্দিকে সমস্ত জৈন মহাজনগণের বাস ছিল। ক্ষু মন্দিরের সম্মুখে জগৎশেঠদিগের একটা প্রাচীন বাটতে কাশীমবাজার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাত কাস্তবাবুর অন্ততম ভ্রাতার বংশধর বাস করিতেছেন । জৈন মহাজনগণ কাশীমবাজার মহাজনটুলী হইতে জগৎশেঠের আবাসস্থলের নিকট মহিমা পুরের মহাজনটুলীতে গিয়া বাস করিয়াছিলেন। পরে তথা হইতে বালুচর ও আজিমগঞ্জ প্রভৃতি স্থানে আপনাদের আবাস স্থান স্থাপন করেন । ১৭৬৩ শকে বা ১৮১১ খৃঃ অব্দে কাশমবাজারের ব্যাসপুরের প্রসিদ্ধ পণ্ডিত কৃষ্ণনাথ দ্যায়পঞ্চাননের পিতৃদেব রামকেশবের স্থাপিত একটা সুন্দর শিব . সেমিনাথের মন্দির ও মধুগেড়ের বিস্তুত বিবরণ “মুর্শিদাবাদ*হিনী"র কাশীমবাজার প্রবন্ধে দ্রষ্টব্য।