পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। ૨૭S তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বলিয়া শুনা যায়। দালানের অভ্যন্তরে একটা বেদী আছে, তাহা মেরীর নামে উৎসর্গীকৃত। তথায় মেরীর একখানি সুন্দর চিত্ৰপট ছিল, এক্ষণে তাহ ছিন্ন অবস্থায় পতিত। গিজার মাথায় ৪টা বৃহৎ ঘণ্টা ছিল, বহুদূর হইতে তাহদের শব্দ শুনা যাইত, এক্ষণে আর ঘণ্টাগুলি দেখা রায় না । শুনা যায়, তাহীদের দুই একটা অপহৃত হয় এবং অবশিষ্টগুলি কলিকাতায় প্রেরিত হইয়াছে, গির্জা-বাটীর চতুর্দিক আম্র র্কাটাল প্রভৃতি বৃক্ষে পরিপূর্ণ। পূৰ্ব্বদিকে বর্তমান গির্জারক্ষকের আবাস গৃহ। গির্জা-বাটীর প্রবেশদ্বারে ১৭৫৮ খৃষ্টাব্দ লিখিত আছে । বাটীর উত্তরে একটা পথ, তাহার নীচে একটা বাধা ঘাটসংযুক্ত প্রকাও পুষ্করিণী বকুল বৃক্ষের ছায়া বক্ষে করিয় অবস্থিতি করিতেছে । বহুদিনের প্রাচীন পুষ্করিণী বলিয়া তাহ দুই চারিট কুম্ভীরের আশ্রয়স্থান হইয়া উঠিয়াছে। পুষ্করিণীর পূর্বদিকে শ্রেণীবদ্ধ দেবদারু বৃক্ষ, এই পুষ্করিণী বিষ্ণুপুরের বিলের গর্ভ ব্যতীত অন্ত কিছুই নহে। বিষ্ণুপুরের বিলও এককালে ভাগীরথীর গর্ভ ছিল । বর্তমান গিজর্ণর পশ্চিমে প্রাচীন গিজর্ণর স্থান । তথায় কয়েকটী সমাধি আছে বলিয়া তাহার ভূমিতে লাঙ্গল বা কোদালী প্রয়োগ নিষিদ্ধ। পুষ্করিণীর পশ্চিমে একটা প্রাচীন সেতু বিদ্যমান। তাহার কোন কোন স্থানের ইষ্টকের বিচ্যুতি ঘটিয়াছে। সেই দিক দিয়া পূৰ্ব্বে কালিকাপুর যাওয়ার পথ ছিল। পুষ্করিণীর পূর্ব দিয়া এক্ষণে কালিকাপুরে যাইতে হয়, সেই পথে একটা নূতন সেতুও নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। চারি পাশ্বে ছায়াবৃক্ষ-পরিশোভিত পুষ্করিণীর সন্মুখস্থ গিজ সৈয়দাবাদের একটি দর্শনীয় পদার্থ।