পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায়। Հb-> সায়িগণ ও ইংরাজ কুঠীর সরবরাহকারগণ চাৰ্ণক ও র্তাহার সহযোগিগণের বিরুদ্ধে অনেক টাকার দাবী করিলে, কাশীমৰাজারের মোগল বিচারক তাহাদের নিকট হইতে অভিযোগকারিগণের ৪৩ হাজার টাকা প্রাপ্য স্থির করেন। নবাব সায়েন্ত খাও উক্ত বিচারের সমর্থন করিয়া অর্থপ্রদানে অসম্মত চার্ণককে ঢাকায় উপস্থিত হওয়ার জন্য পরওয়ানা পাঠাইয়: দেন। চাণক তাহ অগ্রাহ করিয়া কাশীমবাজার ও ঢাকার বিচারাদেশের কিছু পরিবর্তনের চেষ্টায় প্রবৃত্ত হন, কিন্তু তাহাতে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। নবাব তাহার প্রতি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইরা কাশীমবাজার কুঠীর সহিত অন্যান্য স্থানের চলাচল বন্ধ করার আদেশ প্রদান করেন । সেই সময়ে বাঙ্গালার ইংরাজ অধ্যক্ষ বিয়ার্ড সাহেবের মৃত্যু হইলে, যাহাতে চার্ণক হুগলীতে গমন করিতে না পারেন, তজ্জন্ত র্তাহার উপর প্রহরী নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু তিনি ১৬৮৬ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে কাশীমবাজার হইতে পলায়ন করিয়া হুগলীতে উপস্থিত হন, এবং বাঙ্গলার ইংরাজ কোম্পানীর সমস্ত কার্য্য পরিচালনের ভার গ্রহণ করেন । * ইংরাজ কোম্পানীর প্রতি মোগলের অসন্তোষের বিষয় অবগত হইয়া কোম্পানীর ইংলণ্ডস্থ অধ্যক্ষ আনিলকিন গণ নবাব সায়েস্তা খা ও বাদসাহ আরঙ্গ- সনের হুগলীতে জেবের সহিতৃ প্ৰকাত ভাবে বিবাদারস্তে পতি। প্রবৃত্ত হইলেন। বোম্বাইএর অধ্যক্ষের প্রতি এইরূপ আদেশ প্রদত্ত হইল যে, মোগল জাহাজ দেখিলেই তাহ অধিকার

  • Wilson's Annals. Vol. I.